1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. dbcjournal24@gmail.com : ডিবিসি জার্নাল ২৪ : ডিবিসি জার্নাল ২৪
  3. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
  4. : :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী আমরা আছি মানবতার সেবায় সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন ৬০ বিজিবি’ উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বুড়িচং থানা পুলিশ ৫৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। ভরাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ কুমিল্লায় ডায়াবেটিসে নিরাপদ রোজা এবং ঘুম ও জীবন ছন্দ শীর্ষক সেমিনার। বুড়িচং ভরাসার ইন্জি. এরশাদ গার্লস হাই স্কুলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে সড়ক দূর্ঘটনার ১যুবক নিহত বুড়িচংয়ে মোহাম্মদ আলী স্মৃতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

বুড়িচংয়ে লাইসেন্সছাড়া অবৈধ ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসার ছড়াছড়ি

  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৭১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:-

লাইসেন্স ছাড়া কোনভাবেই ইন্টারনেট সেবা দেয়া যাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠাণ লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বিটিআরসির অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত থাকলেও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলায় নেই কোন পদক্ষেপ। প্রশাসনের নাকের ডগায় গড়ে উঠেছে অবৈধ ভাবে ইন্টারনেট ব্যবসার কন্ট্রোলরুম। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় দিন দিন পাড়া মহল্লায় বেড়েই চলছে ইন্টারনেটের সংযোগ,কন্ট্রোলরুম, সাবকন্ট্রোলরুম। এতে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।
বুড়িচং উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রায় ৩৫টি অবৈধ ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসার সেন্টার রয়েছে। প্রতিটি গ্রামের পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় ইন্টারনেট ও ডিসের আইপিও সেন্টার খুলে অবৈধভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ফলে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
বিটিআরসি একটি কমিশনের মাধ্যমে পাড়া মহল্লায় অবৈধভাবে আইএসপি ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার ও সাইবার ক্যাফে পরিচালনাকারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি দফায় দফায অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠাণকে সর্তক করে দিয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তারপরেও থেমে নেই অবৈধ ভাবে ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসা।
টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী লাইসেন্স ছাড়া ইন্টারনেট সংক্রান্ত কোন ধরণের ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না।
বিটিআরসি সূত্র মতে, অবৈধভাবে পরিচালিত ইন্টারনেট ব্যবসা দফায় দফায় সর্তক করার পরও বন্ধ হয়নি। লাইসেন্স ছাড়া এসব প্রতিষ্ঠাণ পরিচালিত হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। পাড়া মহল্লায় গজিয়ে ওঠা এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোন বৈধতা নেই। ইন্টারনেটের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমকে তারা অপব্যবহার করছে। ২০০১ সালের বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের বিধান অনুযায়ী সাইবার ক্যাফে পরিচালনা, ইন্টারনেট সেবা প্রদানসহ যে কোন টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের জন্য কমিশন হতে লাইসেন্স গ্রহন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্ত অধিকাংশ প্রতিষ্ঠাণ লাইসেন্স ছাড়াই অথবা অন্যর লাইসেন্সের উপর ভর করে দেদাড়ছে ব্যবসা করে যাচ্ছে। টেলিযোগাযোগ আইনের ৩৫ ধারার বিধান অনুযায়ী লাইসেন্স ব্যতীত টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ সেবা প্রদান করা একটি অপরাধ। এই জন্য আইনে অনধিক ১০ বছর কারাদন্ড বা অনধিক ৩শ কোটি টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডণীয় করার বিধান রয়েছে। তাই কমিশনের মাধ্যমে অবৈধ ইন্টারনেট ও সাইবার ক্যাফে পরিচালনাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। সেই আলোকে সারা দেশের যে কোন স্থানে যে কোন প্রতিষ্ঠাণে, ব্যক্তিকে কমিশন থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।
অনুমোদন ছাড়াই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ নিয়ে অবৈধভাবে ইন্টারনেটের ব্যবসা করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে অল্প পুজিতে অধিক মুনাফার এই ইন্টারনেট সংযোগের ব্যবসা ছড়িয়ে পড়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাসজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানান যায়,বুড়িচং উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামের প্রায় ২০/২৫ টি ইন্টারনেট ও ডিস ব্যবসার কন্ট্রোল রুম থাকলেও মাত্র ৪টি প্রতিষ্ঠানের বিটিআরসি অনুমোদিত লাইসেন্স রয়েছে। লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠাণগুলো হলো বুড়িচং সদর ইউনিয়নের প্রান্ত এন্টারপ্রাইজ, ষোলনল ইউনিয়নের ভরাসার বাজারের রাবেয়া এন্টারপ্রাইজ,মোকাম ইউনিয়রে নিমসার বাজারের নিমসার অনলাইন ও রাজাপুর ইউনিয়নের আমেনা নেটওয়ার্ক। এছাড়া বাকিগুলোর কোন রকমের লাইসেন্স নেই। অবৈধভাবে দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট ও ডিসের ব্যবসা করে যাচ্ছে।
সূত্রে আরোও জানান যায়, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে লাইসেন্স বিহীন অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসা পরিচালন করছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লাইসেন্সধারী একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী জানান, আমরা বিটিআরসি থেকে বৈধভাবে লাইসেন্স নিয়ে কন্ট্রোলরুম স্থাপনের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্সসহ বিভিন্ন ফি এবং ট্যাক্স প্রদান করে ব্যবসা করতে হিমশিম খাচ্ছি অথচ অন্যরা কোন ট্যাক্স ভ্যাট না দিয়ে লাইসেন্স না নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে লিয়াজু করে দেদারছে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে আমরা লাইসেন্সধারী ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাই আমাদের দাবী বিটিআরসি অবৈধ কন্ট্রোলরুমগুলো বন্ধ করে সকলকে লাইসেন্সের আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহন করে।
বাকশীমুল গ্রামের অবৈধ ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মোমিন জানান, তার নিজের কোন লাইসেন্স নেই। অন্য একজনের লাইসেন্স ব্যবহার করে ব্যবসা করছে। অন্যর মাধ্যমে সাব স্টেশন স্থাপন করে ব্যবসা করছে।
রাজাপুর ইউনিয়নের বারেশ^র গ্রামের জুয়েল জানান, অন্য একজন ব্যবসায়ীর কন্ট্রোলরুম থেকে কানেকশন নিয়ে ডিসের ব্যবসা করি। আমার নিজের কোন লাইসেন্স নেই। লাইসেন্স ছাড়াই তো ব্যবসা করতে পারছি।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহ অফিসার মোসাৎ সাবিনা ইয়াছমিন বলেন, বুড়িচং কার কার লাইসেন্স আছে আর কার কার লাইসেন্স নেই তাদের তালিকা দেন। আমরা প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন