1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. dbcjournal24@gmail.com : ডিবিসি জার্নাল ২৪ : ডিবিসি জার্নাল ২৪
  3. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
  4. : :
সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সাত গ্রামের সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. রেজাউল করিম বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনী আমরা আছি মানবতার সেবায় সংগঠনের উদ্যোগে ঈদ সামগ্রী বিতরণ সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন ৬০ বিজিবি’ উদ্যোগে দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে ইফতার এবং খাদ্য সামগ্রী বিতরণ বুড়িচং থানা পুলিশ ৫৫ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে। ভরাসার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বার্ষিক ক্রীড়া সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণ কুমিল্লায় ডায়াবেটিসে নিরাপদ রোজা এবং ঘুম ও জীবন ছন্দ শীর্ষক সেমিনার। বুড়িচং ভরাসার ইন্জি. এরশাদ গার্লস হাই স্কুলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত বুড়িচংয়ে সড়ক দূর্ঘটনার ১যুবক নিহত বুড়িচংয়ে মোহাম্মদ আলী স্মৃতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

বিএনপির স্হায়ী কমিটিতে নতুন ত্যাগী নেতাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৭৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্ট : বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি থেকে কয়েকজনকে বাদ এবং কয়েকজনকে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে ভাবছেন দলের শীর্ষ নেতারা। 

   দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলাপকালে তাঁদের মনে হয়েছে, কাদের স্থায়ী কমিটিতে নিয়োগ দেওয়া যায় সে বিষয়ে তাঁর এক ধরনের সিদ্ধান্ত আছে।উপযু্ক্ত সময়ে আনুষ্ঠানিকতা সারবেন তিনি।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২২ জুন সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা বলেন,  কমিটির শূন্যপদ পূরণের জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনিও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে পরিবর্তন আনার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।এর আগেও একাধিকবার স্থায়ী কমিটি পুনর্বিন্যাস করার আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক নানা ঘটনাপ্রবাহের কারণে তখন এই কমিটিতে কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি

তবে স্থায়ী কমিটিতে কেউ অন্তর্ভুক্ত হবেন কি না, কমিটিতে কোনো পরিবর্তন আসবে কি না—সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের।
বিএনপি সর্বশেষ ২০১৬ সালের মার্চে কাউন্সিল করে। ওই বছরের আগস্টে ১৭ সদস্যের স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করা হয়। বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে পদ রয়েছে ১৯টি। তখন থেকেই দুটি পদ শূন্য রয়েছে।

এরপর এম কে আনোয়ার, তরিকুল ইসলাম, আ স ম হান্নান শাহ ও মওদুদ আহমদ মারা গেলে ছয়টি পদ শূন্য হয়। সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমান পদত্যাগ করায় শূন্যপদ দাঁড়ায় সাতে। পরে সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে নিয়োগ দেওয়ায় এখন পাঁচটি পদ খালি রয়েছে।
বর্তমানে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আছেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় থাকবেন—এই শর্তে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত আছে বলে রাজনীতিতে আলোচনা রয়েছে। শারীরিকভাবে অসুস্থতার কারণে তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসাধীন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। রফিকুল ইসলাম মিয়া অন্যের সহযোগিতা ছাড়া চলাফেরা করতে পারেন না। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কখনোই থাকেন না তিনি। নব্বই-ঊর্ধ্ব জমির উদ্দিন সরকার সব সময় বৈঠকে থাকেন না। বার্ধক্যজনিত কারণে এখন তিনি অনেকটা নিষ্ক্রিয়।

স্থায়ী কমিটির একজন নেতা বলেন, এখন বৈঠকে ৮ থেকে ১০ জনের বেশি থাকেন না। কমিটিতে থাকলেও বার্ধক্য, অসুস্থতাসহ নানা কারণে কয়েকজন নেতাকে কখনো বৈঠকে পাওয়া যায় না।

দলীয় সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারেন এমন কয়েকজন যোগ্য নেতার বিষয়ে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। তাঁরা হলেন সিনিয়র নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, মেজর হাফিজ উদ্দিন আহম্মদ (অব.), বরকতউল্লা বুলু, মো. শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, নিতাই রায় চৌধুরী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, শামসুজ্জামান দুদু ও রুহুল কবীর রিজভী। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও জহির উদ্দিন স্বপনের নামও আলোচনায় আছে। দুজনকে মেধাবী রাজনীতিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি সম্পর্কে তাঁদের ধারণা বেশ ভালো।বিএনপি সূত্র জানায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও আহমেদ আযম খানকে বিএনপির শীর্ষ নেতার পছন্দ বলে দলে গুঞ্জন আছে। তবে বিএনপির রাজনীতিতে এই দুই নেতার বলার মতো কোনো অবস্থান নেই। চিকিৎসক নেতা হিসেবে জাহিদের সুনাম থাকলেও জাতীয় রাজিনীতিতে তাঁকে সেভাবে বিবেচনা করেন না নেতাকর্মীরা। যদিও গত কয়েক বছর তাঁকে দিয়ে দলের গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাজ করানো হয়েছে। 

আব্দুল্লাহ আল নোমান যোগ্য ও বিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতা হিসেবে সবার কাছে সমাদৃত। এর আগের দলীয় কাউন্সিলে তাঁকে স্থায়ী কমিটিতে স্থান না দেওয়ায় সবাই বিস্মিত হন।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত যোগ্যতা, দক্ষতা ও সততার মূল্যায়ন হবে কি না তা নিয়ে দলের অনেকের মনে সংশয় আছে। অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা বলেন, তারেক রহমান তাঁর বিশ্বস্ত ও পছন্দের নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দিয়ে আসছেন। 

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন