নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের অর্থনীতি তলানিতে যায়নি বরং বিএনপির তলা ফেটে গেছে
তিনি বলেন, কোনো ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশের অগ্রগতি থামানো যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাব।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ঢাকা সদরঘাট নদী বন্দরে সুন্দরবন নেভিগেশন গ্রুপের নবনির্মিত সুন্দরবন-১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমন একসময় সুন্দরবন-১৬ লঞ্চ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, যখন পদ্মা সেতুকে নিয়ে উচ্ছাস ও উন্মাদনা শেষ হয়নি। পদ্মা সেতুকে নিয়ে উচ্ছাস ও উন্মাদনা এত
তাড়াতাড়ি শেষ হবার নয়। এরকম সময়ে বিলাসবহুল লঞ্চ নিয়ে আসা সাহসিকতর পরিচয়।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের স্বপ্নে সেতু। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ কখনো ভাবতে পারেনি পদ্মার ওপর সেতু হবে। অসম্ভব এ স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ১৯৯৬ সালে পদ্মা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থান করেন। এরপর ১০ বছর চলে গেছে, কেউ পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা দেখেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন পদ্মা সেতুর সম্ভাবনা দেখলেন তখন শুরু হলো ষড়যন্ত্র। এ ষড়যন্ত্র শুধু পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে নয়, এ ষড়যন্ত্র সরকার ও দেশের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে একটি দুর্নীতির আবরণ দিয়ে ঢেকে দেয়ার অপচেষ্টা।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণের মাধ্যমে এসব অপচেষ্টা নষ্ট করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা যদি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে পথ চলি তাহলে কোনো বাধা সামনে দাঁড়াতে পারবে না। সব বাধা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাব। রিজার্ভ নিয়ে বাংলাদেশের বিরদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন ডিজিটাল বাংলাদেশে বাস করছে। কোনো ষড়যন্ত্র করে লাভ হবে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো: আমিনুল ইসলাম খান, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক।
সুন্দরবন-১৬ লঞ্চটি ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচল করবে। এটির দৈর্ঘ্য ৩০০ ফুট এবং প্রস্থ ৫৪ ফুট। লঞ্চটির যাত্রী ধারণ ক্ষমতা এক হাজার পাঁচ শ`জন। এতে লিফট, ডুপ্লেক্স সুবিধা ছাড়াও দু’শতাধিক শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন এবং সোফার ব্যবস্থা রয়েছে। উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়েছে। রাতে চলাচলের জন্য উন্নত প্রযুক্তির রাডার ও জিপিএস এবং নদীর ডুবোচর ও পানির পরিমাণ নির্ধারণ করতে বসানো হয়েছে ইকো সাউন্ডার।
কমেন্ট করুন