মেসি ম্যাজিকে মুগ্ধ কাতার বিশ্বকাপ। দাপট দেখাচ্ছে ছোট টিমগুলো। নতুন তারকা মেলেনি। তবে অফসাইড ও এক্সট্রা টাইম (অতিরিক্ত সময়) এবারের বিশ্বকাপে আলোচনার বিষয়। নেপথ্যে রেফারি। অত্যাধুনিক রেফারি। কাতারের মাঠে রেফারির হাতে রয়েছে উন্নত প্রযুক্তির মহার্ঘ ঘড়ি। তা কেবল সময় দেখায় না। এক ঘড়ি অনেক কাজ করে। ফলে দামও আকাশ ছোঁয়া। কত দাম? কী কী কাজ হয় উন্নত প্রযুক্তির ওই ঘড়ির মাধ্যমে?
এখানেও সুইস ঘড়ির জয়। সুইটজারল্যান্ডের সংস্থা হাবলট দীর্ঘদিন হল তৈরি করছে ফিফা রেফারিদের জন্য বিশেষ ধরনের ঘড়ি। ৪৪ মিমি ডায়াল সাধারণত কালো সেরামিক এবং কালো টাইটানিয়ামের। এবারে স্ট্র্যাপে রয়েছে কাতারের পতাকা। সবচেয়ে বড় কথা, এই ঘড়িতে রয়েছে একটি চিপ। তার মাধ্যমে মাঠের বাইরের রেফারি তথা অন্য অফিসিয়ালদে (পরিচালক) সাথে ম্যাচ চলাকালীন যোগাযোগ রাখেন মাঠের ভেতরের রেফারি। চিপের সাহায্যে যাবতীয় তথ্য আদানপ্রদান চলে। অফসাইড, গোললাইন সংক্রান্ত এবং অন্য ম্যাসেজ ভারের রেফারি পাঠালে ঘড়ি কেঁপে (ভাইব্রেট) ওঠে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেন রেফারি। এত এত কাজ হওয়া ঘড়ির দাম কত?
সুইটজারল্যান্ডের সংস্থা হাবলট এই ঘড়ির দাম ৫ হাজার ৪৮০ ডলার। বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় পাঁচ লাখ ৬৫ হাজার টাকার বেশি। হাবলট এমন এক হাজারটি ঘড়ি তৈরি করেছে এবারের বিশ্বকাপের জন্য। আসলে রেফারি তো ব্যবহার করছেনই। পাশাপাশি কাতারে আসা ভিভিআইপি অতিথিদেরও উপহার দেয়া হচ্ছে অত্যাধুনিক স্মার্ট ওয়াচ। যা অর্থের বিনিময়েও বাজারে মিলবে না এখন। উল্লেখ্য, চলতি বিশ্বকাপে মোট ১২৯ জন ম্যাচ পরিচালক রয়েছেন। এর মধ্যে ৩৬ জন রেফারি, ৬৯ জন সহকারী রেফারি এবং ২৪ জন ভার রেফারি। সসম্মানে ছয়জন মহিলা রেফারি ম্যাচ পরিচালনা করছেন।এই রেফারিদের জন্যই তো মেসি-রোনালদো-এমবাপ্পে-নেইমার-সুয়ারেজ-লেয়নডস্কির মতো খেলোয়াড় নির্বিঘ্নে খেলতে পারছেন। আর গোটা বিশ্বের মানুষ তাদের পায়ের জাদুতে মুগ্ধ হচ্ছেন।
কমেন্ট করুন