কুমিল্লায় পছন্দের প্রার্থীকে ভোট না দেয়ায় ২ ইউপি সদস্যকে মারধর; বাড়ী-ঘর ভাংচুর
স্টাফ রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় কুমিল্লায় দুই ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে মারধর ও বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ২ ইউপি সদস্য জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জহিরুল ইসলাম ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোঃ সোহেল রানা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেনের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন।
নির্বাচনে আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু জাহের বিজয়ী হয়। আবু জাহের বিজয়ী হওয়ার পর থেকে তার লোকজন ওই দুই ইউপি সদস্যকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে।
গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে ইউপি সদস্য সোহেল রানা একটি জানাজায় যাওয়ার পথে বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আখলাক হায়দারের ছেলে আদনান হায়দার সহ ১৫-২০ জনের একটি দল তার ওপর হামলা চালায়। এসময় নির্বাচনে এম এ জাহের এর পক্ষে কাজ না করার অপরাধে তাকে মারধর করা হয়।
একই দিন বিকেল ৪টা আদনান হায়দারসহ ১০-১৫ জনের একটি দল ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জহিরুল ইসলামকে মারধর করে তার দোকানের সিসি ক্যামেরা ও হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে যায়।
এর কিছুক্ষণ পর চান্দসার গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নুরুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করে। এতে ভয়ে লোকজন বাড়িঘর ছেলে পালিয়ে যায়।
এছাড়াও ভাদুয়াপাড়া গ্রামের রফিক এর বাড়িতে লুটপাট, আনোয়ারের দোকান ভাঙচুর, সিন্দুরিয়া পাড়া গ্রামের আবুল খায়েরকে মারধর ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের হুমকি প্রদান করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আদনান হায়দারকে একাধিক ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানান, ঘটনার পরপর সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ১ জনকে আটক ও ৪টি মোটরসাইকেল জব্দ করে। এরপর থেকে পরিস্থিতি শান্ত আছে। নিরাপত্তার জন্য আজ (বৃহস্পতিবার) দুই ইউপি সদস্য একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কমেন্ট করুন