1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

বুড়িচংয়ে প্রশাসনের অনুমতিবিহীন জনবসতি এলাকায় পোল্টি ফার্ম

  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩
  • ১৭৫ বার পড়া হয়েছে

নিয়ম থাকলেও নেই সঠিক মনিটরিং!
বুড়িচং-বিপাড়ায় জনবসতির পাশে গড়ে উঠা পোল্ট্রি ফার্মের বেশিরভাগের নেই পরিবেশ ছাড়পত্র। 
বুড়িচং প্রতিনিধি :   বুড়িচং  উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের পাড়া মহল্লায় পরিবেশ ছাড়পত্র বিহীন শতাধিক প্লোট্টি ফার্ম জনবসতির পাশে অবাধে গড়ে উঠছে। এতে ফার্মের পাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষের জীবন যাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ডিম উৎপাদন করা ফার্মগুলোতে দুর্গন্ধ ছড়ায় বেশি।নিয়ম অনুযায়ী জনবসতি এলাকার ৫শত গজ দূরে মুরগি ও ডিম উৎপাদন করার ফার্ম করতে হবে। কিন্ত বুড়িচং উপজেলার কেউ মানছে না এই নিয়ম কানুন। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা কিংবা জনবসতির পাশে এবং কোথাও কোথাও জনবসতির মধ্যেই গড়ে উঠেছে অসংখ্য প্লোট্টি ফার্ম। যার বেশির ভাগেরই নেই পরিবেশ ছাড়পত্র এবং প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের রেজিষ্ট্রেশন। মুরগি উৎপাদনকারী ফার্ম থেকে ডিম উৎপাদনকারী ফার্মের দুর্গন্ধ ছড়ায় বেশি। অনেক ডিম উৎপাদনকারী প্লোট্টি ফার্মের মালিকগণ পরিবেশ দুর্গন্ধমুক্ত রাখার মুরগীর মল থেকে গ্যাস উৎপাদন করার জন্য বায়োগ্যাসের ব্যবস্থা করেছে। কিছু কিছু মালিকগণ বায়োগ্যাসের প্রক্রিয়া করলেও বায়োগ্যাসের মুখগুলো উম্মোক্ত থাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এতে আশে পাশের বসবাসরত সাধারণ মানুষের বসবাস করা কষ্ট সাধ্য ব্যাপার হয়ে যায়। বেশিরভাগ পোল্ট্রি ফার্ম পরিবেশবান্ধব না হওয়ায় পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে এবং রোগ জীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিন বুড়িচং উপজেলার মডেলপাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, মোঃ বাবুল হোসেন ওমোঃ মাইনুদি্দন আবু নামের দুই ভাই বুড়িচং মডেলপাড়ার জনবসতির মধ্যেই ডিম উৎপাদনকারী পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তুলেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পরিবেশ ছাড়পত্র বিহিনী এবং পরিবেশবান্ধব না করে ফার্মটি পরিচালনা করে আসছে। এতে ফার্মের দুর্গন্ধে আসে পাশে বসবাসরত সাধারণ মানুষ খুবই দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। তাছাড়া ফার্মের ৫০ গজের মধ্যে বুড়িচং মডেল একাডেমী অবস্থিত। ফার্মের দুর্গন্ধের কারণে ছাত্রছাত্রীরা অতিষ্ঠ হয়ে এবং তাদের লেখাপড়ায় বিঘœতা ঘটছে। নাম প্রকাশে অনু্িচ্ছক ফার্মের পাশর্^বতি এক প্রতিবেশি বলেন, এই ফার্মের বিষয়ে অনেক অভিযোগ দিয়েছি। কিন্ত অদৃশ্য কারণে কোন কিছুই হচ্ছে না। মুরগীর বিষ্ট্রার দুর্গন্ধে বসবাস করাই মুশকিল হয়ে গেছে। কিন্ত জীবন সব সঞ্চয় ব্যয় করে মডেল পাড়ায় বাড়ি করেছি তাই একান্ত বাধ্য হয়েই মানবতের জীবন যাপন করছি। মোঃ বাবুল হোসেন ও মোঃ মাইনুদ্দিন কারো কথাই কর্ণপাত করছে না। স্থানীয় প্রশাসনের নিকট কয়েকবার অভিযোগ করেও কোন ফলাফল পাই নাই। তাই এই বিষয় নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। পোল্ট্রি ফার্মের মালিক মোঃ বাবুল হোসেন বলেন, আমি যখন এখানে ফার্মটি স্থাপন করি তখন এখানে কোন জনবসতি ছিল না। এখন যেহেতু দিনে দিনে ফার্মের চারদিকে জনবসতি গড়ে উঠেছে। আমি সুবিধা মতো সময় নিয়ে অন্য জায়গায় ফার্মটি সরিয়ে ফেলবো। পরিবেশ ছাড়পত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র নেই নাই। তবে দুর্গন্ধ যেন না ছড়ায় তার জন্য বায়োগ্যাসের ব্যবস্থা করেছি। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর বায়োগ্যাস করার জন্য অর্থনৈতিক ভাবে সহযোগীতা করেছে। বুড়িচং উপজেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর নাছিমা আকাক্তর বলেন, জনবসতির ৫শত গজের মধ্যে পরিবেশ বিঘ্ন সৃষ্টিকারী কোন প্রতিষ্ঠান স্থাপন করার নিয়ম নেই। যদি কেউ জনবসতির ৫শত গজের মধ্যে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান করে থাকে তাহলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ করতে বলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা পেলে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। বুড়িচং উপজেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন,জনগণের বসবাসের বিঘ্ন ঘটবে এমন কোন কাজ করা যাবে না। দুর্গন্ধ ছড়ায় কিংবা পরিবেশর ক্ষতিসাধন করে এমন প্রতিষ্ঠানগুলো জনবসতি থেকে দূরে স্থাপন করতে হবে। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন