1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

টাইম ম্যাগাজিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা ও সমালোচনার রিপোর্ট প্রকাশিত

  • আপডেট করা হয়েছে শুক্রবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২১৩ বার পড়া হয়েছে
  • গণভবনের রিসিপশন রুমে বিলাসবহুল সিল্কের শাড়ি পরনে লৌহকঠিন ব্যক্তিত্বের শেখ হাসিনা।৭৬ বছর বয়সী, রূপালী কেশের বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন এক রাজনৈতিক চরিত্র যিনি গত এক দশকে গ্রামীণ পাট উৎপাদনকারী থেকে ১৭ কোটি মানুষের দেশকে এশিয়া-প্যাসিফিকের দ্রুততম প্রসারিত অর্থনীতিতে উত্থানের পথ দেখিয়েছেন।

    প্রথম মেয়াদে ১৯৯৬ থেকে ২০০১, পরে ২০০৯ সাল থেকে একটানা অফিসে থেকে তিনি সরকারি পদে আসীন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন নারী সরকার প্রধান হয়ে উঠেছেন। সেইসঙ্গে পুনরুত্থিত ইসলামপন্থী ও এককালে অনধিকারচর্চী সামরিক শক্তি উভয়কেই পরাস্ত করার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। ইতিমধ্যে মার্গারেট থ্যাচার কিংবা ইন্দিরা গান্ধীর চেয়ে বেশি নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর হাসিনা জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে সেটা আরও দীর্ঘ করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। সেপ্টেম্বরে টাইম ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি আত্মবিশ্বাসী যে আমার জনগণ আমার সাথে আছে। তারা আমার প্রধান শক্তি।”

    হাসিনার শাসনামলে কয়েক বছর ধরে ১৯টি গুপ্তহত্যার চেষ্টা হয়েছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে, প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর সমর্থকরা নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে, যার ফলে শত শত মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে, পুলিশের গাড়ি এবং পাবলিক বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়েছে এবং বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। বিএনপি ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতোই নির্বাচন বয়কট করার ব্রত নিয়েছে যদি না হাসিনা নির্বাচন পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। (তাদের এই দাবির ঐতিহাসিক নজির থাকলেও সংবিধান সংশোধনের পর সেটি আর বহাল নেই।)

    হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের অধীনে বাংলাদেশ কর্তৃত্ববাদী রূপ নিয়েছে। ব্যালট বাক্স দখল এবং হাজার হাজার ভুয়া ভোটার সহ নানা উল্লেখযোগ্য অনিয়মের কারণে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং অন্যরা গত দুটি নির্বাচনের নিন্দা জানিয়েছিল।(যেগুলোতে তিনি যথাক্রমে ৮৪% এবং ৮২% ভোট পেয়ে জয়ী হন)।

    দুই বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সন্দেহ রয়েছে এমন দুর্নীতির অভিযোগে গৃহবন্দী এবং গুরুতর অসুস্থ। এরই মধ্যে, চল্লিশ লাখ (আশ্চর্যজনক) আইনি মামলায় বিপাকে পড়েছেন বিএনপির কর্মীরা। অন্যদিকে, স্বাধীন সাংবাদিকরা এবং নাগরিক সমাজের কাছ থেকেও প্রতিশোধমূলক হয়রানির অভিযোগ আসছে।সমালোচকরা বলছেন, জানুয়ারির নির্বাচন হবে রাজ্যাভিষেকের সমতুল্য, আর হাসিনা স্বৈরশাসকের।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন ,”ক্ষমতাসীন দল পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করছে, তা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাই হোক কিংবা বিচার বিভাগ। আমরা কথা বললেই তারা নিপীড়ন করে।” ভাঙচুর ও হত্যাসহ ৯৩টি মামলায় অভিযুক্ত মির্জা ফখরুল নয়বার কারাবরণ করেছেন।



    ‘বাংলাদেশের মূল্য আছে’। দেশটি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীবাহিনীতে একক বৃহত্তম শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী এবং নিয়মিতভাবে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের সাথে অনুশীলন করে থাকে। দেশটির প্রাণবন্ত অভিবাসীরা এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকাজুড়ে ব্যবসায়ী এবং শিল্প সম্প্রদায়ের গভীরে প্রোথিত। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) এর সবচেয়ে বড় উৎস যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্যও যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেনে ভ্লাদিমির পুতিনের আগ্রাসনের নিন্দা করা (যদিও বিলম্বে) উন্নয়নশীল বিশ্বের কতিপয় নেতাদের একজন হাসিনা যিনি পশ্চিমাদের জন্য নিজেকে দরকারি হিসেবে তুলে ধরেছেন। প্রতিবেশী মিয়ানমার থেকে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে থাকতে দেয়ার বিষয়টিও উল্লেখযোগ্য।

    কিন্তু, স্বৈরতন্ত্রের দিকে বাংলাদেশের ঝুঁকে পড়া নিয়ে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন। যুক্তরাষ্ট্রের আয়োজনে সর্বশেষ দুটি গণতন্ত্র সম্মেলনে হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। গত মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র জানায়- নির্বাচনকে ব্যাহত করলে যে কোনো বাংলাদেশির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এর জবাবে, হাসিনা সংসদে বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র তাকে ক্ষমতাচ্যুত করে “গণতন্ত্র বাদ দেয়ার চেষ্টা করছে”। তার এমন অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস জোর দিয়ে বলেন, ওয়াশিংটন “কোনো পক্ষকে বেছে না নেয়ার ব্যাপারে সতর্ক”।দিকে নজর রাখছে … তাই বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক থাকাটা সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।”

    রোহিঙ্গা সঙ্কটের দ্বারা বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা মূর্ত হয়েছে। কক্সবাজারের সমুদ্রতীরবর্তী হোটেল থেকে গাড়িতে করে এক ঘন্টা গেলে প্লাস্টিকের চাদরে আচ্ছাদিত বাঁশের কুঁড়েঘরগুলি নজরে পড়বে। কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের অভ্যন্তরে, সরকারের কারণে পশ্চিম মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসার প্রায় দশ লাখ রাষ্ট্রহীন রোহিঙ্গা শরণার্থী সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন, ওইসময় আনুমানিক ২৪,০০০ মানুষের প্রাণ হারিয়েছিল। শিশুরা ফুটবল খেলছে, মহিলারা বোরকা পরে সমুচা আর টক বরই জাতীয় পণ্য বিনিময় করছে।
    যারা পালিয়েছিল তারা নিজেদের সাথে হত্যা, অগ্নিসংযোগ এবং ধর্ষণের গল্প ছাড়া সামান্যকিছুই সাথে নিয়ে এসেছিল।রোহিঙ্গাদের প্রতি বাংলাদেশের সহানুভূতিশীল প্রতিক্রিয়া দেখে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় অন্যান্য মানবাধিকারের উদ্বেগ উত্থাপন করতে অস্বস্তি বোধ করেছে। মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলছিলেন, এই দেখেও অন্ধ হয়ে থাকাটা ‘চলতে থাকতো যদি না অভ্যন্তরীণ নির্যাতন অতি তীব্র না হয়ে উঠতো”। কিন্তু এখন, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা এবং মানবিক অবস্থার অবনতির সাথে সাথে পশ্চিমাদের চাপও ক্রমবর্ধমান।

    ৫৪ বছর বয়সী শরণার্থী শরিফ হোসেন বলেন, “এখন আমাদের মানুষদের ফিরে যাওয়ার জন্য আরও বেশি চাপ দেয়া হচ্ছে। আমরা মরে যাই বা যা কিছুই হোক না কেন, তাতে বাংলাদেশের কিছু যায় আসে না। তারা শুধু চায় আমাদের মানুষকে তাদের ভূমি থেকে সরিয়ে দিতে।”

    রোহিঙ্গাদের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, হাসিনা বিশ্বকে মনে করিয়ে দেন, “ছয় বছর আমার বোন এবং আমি দেশের বাইরে শরণার্থী হিসেবে বাস করেছি, তাই, আমরা তাদের দুঃখ এবং বেদনা বুঝতে পারি।” কিন্তু তার সরকার শরণার্থীদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা এবং জীবিকা অর্জনের বৈধ উপায়ের অনুমতি দেয়ার দাবিতে কর্ণপাত করে নি। বরং, রোহিঙ্গাদের স্বাগত জানানোটাই বন্ধ হয়ে গেছে। হাসিনা বলছিলেন, “এটা আমাদের জন্য বড় এক বোঝা। জাতিসংঘ এবং অন্যান্য সংস্থা যারা এখানে [রোহিঙ্গাদের] সাহায্য করছে তারা মিয়ানমারের অভ্যন্তরেও একই কাজ করতে পারে।”

    অবশ্যই রোহিঙ্গা সঙ্কট বাংলাদেশের পক্ষে একা সমাধান করা কখনই সম্ভব ছিল না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও দায় রয়েছে। তাদের দুর্দশা ঢাকায় আমেরিকান প্রভাব নিয়ে নতুন করে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। ঐতিহাসিক ভূমিকাও রয়েছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধিতা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, তারা পাকিস্তানি জান্তার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে গুরুত্ব দিয়েছিল।বাংলাদেশ তার আকার এবং ভৌগোলিক পরিবেশের কারণে ভারত, চীন এবং রাশিয়ার সাথে সম্পর্কের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের সাথে শৈল্পিকভাবে ভারসাম্য রেখেছে।

    স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকে জনগণের সাথে সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য ইতিহাস রয়েছে, রাশিয়ান প্রতিষ্ঠানগুলো বাংলাদেশী শিক্ষার্থী এবং সুশীল সমাজকে পৃষ্ঠপোষকতা করতো। ঝুঁকি হলো যে অনবরত চাপ দেয়া ঢাকাকে ওয়াশিংটন থেকে দূরে এবং মস্কো ও বেইজিংয়ের কাছাকাছি ঠেলে দেয়। এখন পর্যন্ত, ইউক্রেন থেকে রাশিয়াকে প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের প্রস্তাবগুলোতে হাসিনা বিরত থেকেছেন এবং রাশিয়াকে সমর্থনও করেছেন। হাসিনা বিদ্রুপের ইঙ্গিত না করেই বলেন “কিছু ইস্যুতে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিইনি; আবার অন্য কিছু বিষয়ে আমরা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছি। আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার।”

    এটি এমন এক পন্থা যা ঢাকাকে প্রকাশ্যে কোনো পক্ষেরই বিরোধিতা না করার সুযোগ করে দিয়েছে। হাসিনা স্যাংশনপ্রাপ্ত ৬৯টিরও বেশি রাশিয়ান জাহাজকে বাংলাদেশে ডক করতে দেন নি। সেপ্টেম্বরে রাশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ প্রথম কোনো শীর্ষ রাশিয়ান কর্মকর্তা হিসেবে বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা রোসাটম ঢাকার ৯০ মাইল পশ্চিমে দেশের প্রথম পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণ করছে। ৬ অক্টোবর, বাংলাদেশ ওই প্ল্যান্টের জন্য রাশিয়ান ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান পেয়েছে, যা আগামী জুলাই মাসে চালু হওয়ার কথা। ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য কাকে দোষারোপ করবেন জানতে চাইলে হাসিনার সপ্রতিভ উত্তর, “তাদের সকলেরই যুদ্ধ থামানো উচিত। পুতিনের উচিত যুদ্ধ থামানো। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত যুদ্ধে প্ররোচিত না করা এবং অর্থ সরবরাহ বন্ধ করা। তাদের ওই অর্থ শিশুদের পেছনে খরচ করা উচিত।”বাংলাদেশের কঠোর নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে, হাসিনা ফের রক্ষণাত্মক, “আপনি যা কিছুই করবেন, কিছু লোক সর্বদা এর বিরোধিতা করবে।” এটি যে কোনও সমালোচনার অভ্যাসগত প্রতিফলন, যদিও এটি কম স্বস্তিদায়ক নয়। আমাদের কথোপকথনের সময়, উদ্বেগের জায়গাগুলো সাথে সাথেই অস্বীকার করা হয় এবং আত্মদর্শনের সুযোগগুলোর পরিবর্তে ‘ফ্যামিলি ট্রমা’র সেই অতল কূপে ঘুরিয়ে দেয়া হয়। টাইমের সাথে সাক্ষাৎকারে দুই ঘণ্টা সময়ের মধ্যে হাসিনা অনাহূতভাবে ডজনখানেকবার তার খুন হওয়া বাবার কথা তুলে আনেন।

    অভ্যন্তরীণভাবে, তিনি মুজিবকে ঘিরে ব্যক্তিত্বের একটি শ্বাসরুদ্ধকর ‘কাল্ট’ প্রচার করেছেন। আমাদের সামনে ছিল “জাতির পিতা”র একটি বিশাল প্রতিকৃতি এবং প্রত্যেক সরকারি অফিস এবং ওয়েবসাইটে তার গোঁফওয়ালা মুখ শোভিত। ঢাকার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ডিপার্চার লাউঞ্জের অভ্যন্তরে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত প্লাজমা স্ক্রীন থেকে তার বক্তৃতা অনন্যোপায় শ্রোতামন্ডলির সামনে তুলে ধরা হয়। হাসিনা বলেন, “আমি এখানে এসেছি কেবলই আমার বাবার স্বপ্নপূরণ করতে।”

    কিন্তু, সেই স্বপ্ন অবশ্য গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ছিল না। বিদ্রোহী সেনাদের দ্বারা নিহত হওয়ার প্রায় ছয় মাস আগে, ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মুজিব সমস্ত রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করেন এবং নিজেকে বাকশাল নামে পরিচিত একদলীয় রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন, জাতি ছিল দৃশ্যত জরুরি অবস্থার মধ্যে।গণতন্ত্র কখনও পুনরুদ্ধার হবে কিনা তা একটি বিভাজনকারী প্রশ্ন, যদিও সমালোচকরা ইতিমধ্যেই হাসিনার রেজিমকে “বাকসাল ২.০” বলে অভিহিত করেছেন। এমনকি হাসিনার কথায়ও বাংলাদেশ এখন ‘গ্রে জোন’ এ রয়েছে, “গণতন্ত্রের বিভিন্ন সংজ্ঞা রয়েছে যা দেশভেদে পরিবর্তিত হয়।”

    নির্বাচনের দিকে যাচ্ছেন এমন কারো কাছ থেকে এটা খুব কমই আশ্বস্ত করার বক্তব্য। হাসিনা জানেন, তিক্ত ও ক্ষতবিক্ষত বিরোধিতার অর্থ ব্যর্থতা কোনো বিকল্প নয়। তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আমাকে উৎখাত করা অতোটা সহজ নয়। আমাকে নির্মূল করাই একমাত্র বিকল্প। আর, আমি আমার জনগণের জন্য মরতে প্রস্তুত।
    ”বিশ্বের প্রভাবশালী টাইম ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ শীর্ষক প্রতিবেদনের লেখক টাইম-এর প্রতিনিধি চার্লি ক্যাম্পবেল
শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন