গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম ১৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ বাড়ানোর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটির সুপারিশের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ন্যাপ। এছাড়া বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রক্রিয়া বন্ধ করে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বিদ্যুতে লুটপাট দুর্নীতি বন্ধের দাবি জানিয়েছে দলটি।
আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান এমএন শাওন সাদেকী ও মহাসচিব ইন্জিনিয়ার আব্দুল বারিক এ দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ জানায়, সারাদেশে নিরবিচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যর্থ বিদ্যুৎ বিভাগ। কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগে চরম দুর্নীতি চলছে। সরকার লুটপাট আর দুর্নীতি বন্ধ না করে আবারো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে, যা পরিপূর্ণ জনস্বার্থবিরোধী।
তারা বলেন, সরকার একের পর এক পরিবেশ বিধ্বংসী এবং ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। এসব প্রকল্পে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে বিদ্যুতের ইউনিটপ্রতি উৎপাদন খরচ। আর এসবের দায় সাধারণ মানুষের ঘাড়ে চাপানোর জন্য বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি করছে।
নেতৃবৃন্দ গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির বিইআরসি’র সুপরিশ বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, সরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে সঠিকভাবে চালাতে ও দুর্নীতিমুক্ত করতে পারলে খরচ অনেক কমানো যাবে। এ জন্য বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি না করে, উল্টো হ্রাস করা সম্ভব।
তারা বলেন, আবারো বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মানে হচ্ছে, প্রায় প্রতিটা জিনিসের মূল্য আরেক দফা বৃদ্ধির কাজ শুরু করা। জিনিসপত্রের দাম বাড়ানোর জন্য যেহেতু কাউকে তাদের জবাব দিতে হয় না, ক্ষমতায় থাকা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় না; কাজেই মূল্য বৃদ্ধি হবেই। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মূল কারণ সরকারের দুর্নীতি, অপচয়, লুটপাট এবং পাচার। তারা বিদ্যুৎ খাতে অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি দূর করে রাষ্ট্রীয় খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও দাম কমানোর দাবি জানান।
কমেন্ট করুন