কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের বন্দুক যুদ্ধে এক ডাকাত আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে এবং ডাকাতদের ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতে জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর কাকিয়ায় চর এলাকায়। রাত্রি কালিন টহল ডিউটি চলাকালীন ডিবি পুলিশ নিমসার থেকে কংশনগর যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।
ডিবি পুলিশের ওসি রাজেস বড়ুয়া জানান গত সোমবার দিবাগত রাতে কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা ( ডি বি) পুলিশ রাত্রি কালিন টহল ডিউটি চলাকালীন সময়ে জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর নিমসার বাজার থেকে কংশনগর বাজার যাওয়ার সময় ডিবির ব্যবহৃত গাড়ীটি আবিদপুর সড়কে কাকিয়ায় চর এলাকায় পৌছলে রাত অনুমান ২.৫০ মিনিটে
পৌঁছালে গাড়ির চাকায় হঠাৎ করে বিকট আওয়াজ শোনা গেলে ড্রাইভার গাড়ি থামায়। গাড়ি থামার সাথে সাথেই রাস্তার পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত হতে ৭-৮ জন সশস্ত্র ডাকাত দল গাড়িটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। ডিবির অফিসার ও ফোর্সরা দ্রুত গাড়ি থেকে নামলে সশস্ত্র ডাকাত দল ডিবির জ্যাকেট পরিহিত পুলিশ দেখে আক্রমণাত্মক হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে। তখন ডিবি পুলিশ পাল্টা গুলি করলে ডাকাত দল দিক বেদিক পালাতে থাকে। গুলির আওয়াজ ও পুলিশের বাঁশির আওয়াজ শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ও ডিবি পুলিশ পার্শ্ববর্তী ধানক্ষেত ও খালি জায়গায় তল্লাশি করে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একজন ডাকাতকে পেয়ে হেফাজতে নিয়ে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করে। আহত গ্রেফতারকৃত আসামী হল বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়ন এর হাল গাও গ্রামের ( মাষ্টার বাড়ির) আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আবু ইউসুফ (২৯)। ডাকাতদের সাথে ডিবি পুলিশের ৬ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়।
ঘটনাস্থল হতে একটি পাইপ গান, একটি ছেনী দা, একটি কিরিচ, একটি লোহার রড, একটি কার্তুজ উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। গ্রেফতারকৃত আহত আসামী(ডাকাত) বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশী পাহাড়ায় চিকিৎসাধীন আছে।এই সংক্রান্তে গ্রেফতারকৃত আহত ডাকাত ও পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে বুড়িচং থানায় ডাকাতির প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনের ২ টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
কমেন্ট করুন