বেপরোয়া চাঁদাবাজি, পদবাণিজ্য ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ নেতাকে নিয়মতান্ত্রিকভাবে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। অথচ চরম অনিয়ম করার পরও কয়েকজন ব্যক্তি ঐক্য কর্ম প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠনটিকে কলুষিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর আলী নস্কর। বহিষ্কৃতরা হলেন- যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল আলীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খাঁ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ তালুকদার, দফতর সম্পাদক এম এইচ এনামুল হক রাজু ও উপপ্রচার সম্পাদক ইউসুফ আলী বাচ্চু।
আজগর আলী নস্কর বলেন, একাধিক অভিযোগ আসায় চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর কমিটির যৌথ সভা আহ্বান করা হয়। ওই সভায় ৫১ জন নেতাকর্মী বক্তব্যে অভিযুক্ত নেতাদের বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর পুনরায় ওয়ার্কিং কমিটিতে ৪৭ জন কেন্দ্রীয় নেতা বক্তব্য রাখেন। সেখানেও অভিযুক্তদের বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়। এরপর সভাপতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটিও অভিযুক্তদের বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এরপরই দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে দফতর সম্পাদক এম এইচ এনামুল হক রাজুকে সরাসরি অব্যাহতি দেয়া হয়। এ ছাড়া তিনজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপ-প্রচার সম্পাদককে শোকজ করে ৩০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। কিন্তু তারা চিঠির জবাব না দেয়ায় বহিষ্কারাদেশ কার্যকর হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, ২০০৪ সালের ২২ মে শেখ হাসিনার নির্দেশে বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়ীদুর রহমান সায়ীদের নেতৃত্বে মৎস্যজীবী লীগের যাত্রা শুরু হয়। সব শেষে ২০১৭ সালে সায়ীদুর রহমান সায়ীদকে সভাপতি, সাইফুল আলম মানিককে কার্যকরী সভাপতি ও শেখ আজগর নস্করকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে গঠনতন্ত্র মেনে প্রতিটি জেলায় কমিটি গঠন করে দলীয় সব কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আসছে নেতাকর্মীরা। কিন্তু কমিটির ভেতর দুইচারজন পদধারী নেতা বেপরোয়াভাবে চাঁদাবাজি ও পদবাণিজ্যসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের উৎসবে মেতে ওঠে। আজগর আলী নস্কর সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর এ ধরনের লোকদের ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
কমেন্ট করুন