1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

  • আপডেট করা হয়েছে বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২
  • ২৭৯ বার পড়া হয়েছে

কাজী খোরশেদ আলম

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সদরের আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ কে নিয়ে অপ্রপ্রচারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রতিবাদ লিপিতে বলেন, আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি: বুড়িচং সদরের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠান । প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে এই হাসপাতাল সুনামের সহিত বুড়িচং সহ ব্রাহ্মনপাড়া,এমনকি কসবা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া থেকেও আগত রোগীদের বিভিন্নভাবে স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে যাচ্ছে। করোনায় যখন সমস্ত পৃথিবী থমকে যাওয়ার মত অবস্থা সেই সময় এই হাসপাতালটি করোনা কালীন স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে সকলের মাঝে প্রশংসা কুড়িয়েছে।প্রতিষ্ঠাকাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় সাতশত নরমাল ডেলিভারী এবং তিন হাজার পাঁচশত সিজার সহ সকল ধরনের সার্জারি অস্ত্রোপাচার সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

গতকাল ঘটে যাওয়া ঘটনাটি সম্পূর্ণ অবিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা, যা একটি মহল অতি উৎসাহি হয়ে প্রচার করে যাচ্ছে। যা আসলে দুঃখজনক।

গত ৯ অক্টোবর ২২ ইং তারিখ রোজ রবিবার রাত প্রায় ১২.৩০ টার বা কাছাকাছি সময় রোজিনা আক্তার (৩২) নামে একজন প্রসূতি রোগী রক্তক্ষরণ সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসলে ডাক্তার আল্ট্রাসোনোগ্রাম করার পর রুগী এবং রুগীর উপস্থিত স্বজনদের সুন্দর ও সহজ ভাষায় রুগীর সমস্যা সম্পর্কে অবগত করেন এবং উক্ত সমস্যার জন্য জরুরি ভিত্তিতে রুগী এবং অনাগত সন্তানের জীবন রক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে অপারেশন করানোর জন্য রেফার করেন।

কিন্তু রোগীর আত্মীয় স্বজন কুমিল্লা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন এবং সেচ্ছায় সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে আধুনিক হাসপাতালেই অপারেশন করানোর জন্য কর্তব্যরত ডাক্তার কে একাধিক বার অনুরোধ করেন। কর্তব্যরত ডাক্তার তখন রুগীর অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে এবং কি রুগীর স্বজনদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে মিনিমাম ৪/৫ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন এবং বিশেষজ্ঞ গাইনী সার্জন ও বিশেষজ্ঞ এনেস্থিসিয়া ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে অপারেশন চলাকালীন সময়ে প্রয়োজনে জরায়ু কেটে ফেলাসহ উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া লাগতে পারে বলে রোগীকে জানানো হয়। রোগীর স্বামীসহ উপস্থিত আত্মীয়স্বজন সকল বিষয় অবগত হয়ে সর্বোচ্চ ঝুঁকি নিয়ে অপারেশনের জন্য সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর প্রদান করে।

আমরা (আধুনিক হাসপাতাল) মানবতার সর্বোচ্চ দৃষ্ঠান্ত স্থাপন করেছি। অপারেশন শুরু করার পর পর্যন্ত রোগীর স্বজনরা রক্তের ডোনার সংগ্রহ করতে অসমর্থ হয়। কিন্তু হাসপাতাল কতৃপক্ষ ডিরেক্টরের মাধ্যমে ডিরেক্টেরের দুই ভাইয়ের রক্তের মাধ্যমে অপারেশন শুরু হয়। হাসপাতালের স্টাফ মো: মোখলেছুর রহমান ও রক্ত প্রদান করেন। প্রয়োজনে কর্তব্যরত ডাক্তারও রক্ত দেওয়ার আশ্বাস পোষন করেন। যা একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতীয়মান হয়। এক পর্যায় রোগীর আত্মীয়স্বজন ও ডোনার আনতে সমর্থ হয়।

অপারেশনকালীন সময়ে রোগীর জীবন রক্ষার স্বার্থে রোগীর জরায়ু কেটে ফেলাসহ রক্তের মাধ্যমে রোগীর অবস্থা স্মৃতিশীল করতে ডাক্তাররা সমর্থ হয়। অপারেশন পরবর্তী নিবিড় পর্যবেক্ষনে রেখে সার্জন ও এনেস্থেশিয়া ডাক্তার রোগীকে সেবা প্রদান করেন।

আনুমানিক বিকাল ৩.৩০ ঘটিকায় রোগী শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন। পরক্ষনে রোগীর হার্টের ইসিজি পরীক্ষা হার্টের রক্ত পরীক্ষা করা হয়। রোগীর বøাড প্রেশারও কমে যায়। রিপোর্টে হার্টের সমস্যা পরিলক্ষিত হয়। ডাক্তার রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেলে ট্রান্সফারের কথা বললে রোগীর আত্মীয়স্বজন নিজেরা শলা-পরামর্শ করে কুমিল্লা নিতে রাজি হয়।

তারপর এ্যম্বুলেন্স সহযোগে কুমিল্লা পাঠানো হয়। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর মৃত্যুর খবর সম্পর্কে অবগত হয় ( ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আমরা রোগীর আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি, আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করি যেন আল্লাহ তায়ালা তার মৃত্যুকে শহীদি মৃত্যু হিসেবে কবুল করেন এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন। (আমিন)

রোগীর স্বামী সন্তান সহ সকল আত্মীয় স্বজনকে ধৈর্য ধারন করার তাওফিক দান করুন।আমরা সদ্যোজাত শিশুসহ তার বাকি সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

আধুনিক হাসপাতাল রোগীর প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করেছে তা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে।

এই দুনিয়া ক্ষণিকের,যে কেউ যে কোন সময় মৃত্যু বরণ করেন তা আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত। তাই সমস্ত বিষয়টি না জেনে ,ভূল অপারেশন/দুইবার অপারেশন অথবা চিকিৎসা অবহেলা বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার করা অনভিপ্রেত এবং দুঃখজনক। যার দরুন আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষূন্ন হচ্ছে। যদিও তারা প্রথমাবস্থায় স্ত্রী /স্বজন হারানোর বেদনায় আবেগ আপ্লুত হয়ে মনে করেছিলেন যে,ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অদক্ষতা ,অবহেলা ও ভুল চিকিৎসার জন্য তাদের রোগীর মৃত্যু হয়েছে কিন্তু পরক্ষনেই রোগীর পক্ষের সাথে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভুল বুঝাবুঝির নিরসন ঘটে এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে সাময়িক ভুল বুঝাবুঝির জন্য অনুশোচনাও প্রকাশ করেন।

এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে এমন কোন পাড়া বা মহল্লা নেই যারা আমাদের সেবা পায় নাই। আমরা আমাদের গুণগত মান ঠিক রেখে সকল ধরনের সেবা এ এলাকার মানুষদের দিয়ে আসছি এবং দিয়ে যেতে চাই । আপনারা আমাদেরকে পরামর্শ দিবেন যাতে আধুনিক হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে বুড়িচং তথা কুমিল্লার মধ্যে এক অন্যতম হাসপাতালে রূপান্তর করতে পারি (ইনশাআল্লাহ)

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন