মো: রবিউল আলম মালদ্বীপ থেকে:
যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে, বাংলাদেশ হাই কমিশন, মালদ্বীপ ৫১তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে গত শনিবার (২৬শে মার্চ) ২০২২ সকালে হাই কমিশনের সন্মুখে হাইকমিশনার কতৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচির শুভ সূচনা করা হয়।
সান্ধ্যকালীন আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, রাজধানী মালের বিদ্যুৎ বিভাগের অডিটোরিয়ামে। আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর প্রেরিত বানী পাঠ করে শোনানো হয়। মহান স্বাধীনতা ও মুক্তি যুদ্ধের উপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়াও হাই কমিশনের সাম্প্রতিক কার্যক্রমের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
দূতাবাসের প্রথম সচিব ও হেড অব চাঞ্চেরী তার স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। প্রবাসীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন সি.আই.পি. আলহাজ্ব মো: সোহেল রানা, প্রবাসী ডাক্তার মোক্তার আলী লস্কর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনার রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান, অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধাদের অর্জন, ৩০ লাখ শহীদ এবং দুই লাখ নারীর আত্মত্যাগের বিনিময় অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা।
মহান ভাষা আন্দোলন হতে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাংঙ্গালী জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম ভূমিকার কথা শ্রদ্ধার্ঘ্য চিত্তে স্মরণ করেন এবং তার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং দেশের ক্রমবর্ধমান অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরেন। দেশের ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে স্বার্থে কাজ করার জন্য প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, চিকিৎসক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক প্রবাসি বাংলাদেশি ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শেষ পর্যায়ে জাতীয় দিবস উপলক্ষে একটি কেক কাটা হয়। সর্বশেষ নীল দরিয়া শিল্পগোষ্ঠী কর্তৃক মনোজ্ঞ দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনের শেষে নৈশ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।