1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

ভাঙা সেতুতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে ১০ গ্রামের মানুষ

  • আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩
  • ২১০ বার পড়া হয়েছে
  • মোস্তাফিজুর রহমান।

কুমিল্লা ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা চান্দলা খলিফাপাড়ায় ভাঙা সেতুতে জোড়াতালি দিয়ে চলছে ১০ গ্রামের  মানুষ। ভাঙা অংশে স্থানীয়রা বাঁশ দিয়ে তৈরি করেছে বাঁশের সাঁকো। খলিফাপাড়া,চরের পাথর, মন্দভাগ,বায়েক, রামচন্দ্রপুর, সাজঘর,নোয়াপাড়া, লালখার,দেউসের প্রায় ২০হাজার মানুষের একমাত্র সড়ক এটি। একমাত্র সড়কের গুরুত্বপূর্ণ  সেতুর বেহালদশায় সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে। দীর্ঘ তিন বছর ধরে ভেঙে পড়া সেতুটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে পাড় হচ্ছে সাধারণ মানুষ এবং স্কুলের ছোট ছোট বাচ্চারা।
ভারি যান চলাচল থাক দূরের কথা একটা ভ্যান গাড়ি উঠলেই মনে হয় যায় যায় অবস্থা। ভেঙে পড়ার পর থেকেই মিথ্যা আশ্বাসের বুলি শুনছে ভুক্তভোগীরা। কখনো মেম্বার, কখনো চেয়ারম্যান, কখনো এমপি কখনো আবার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ইউএনও সেতু করে দেওয়ার মিথ্যা গল্প শুনাচ্ছে  দীর্ঘ তিন বছর।

সরেজমিনে গেলে  স্থানীয়রা বলেন, ২/৩ বছর আগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন খাল খনন করে। এসময় সেতুর নিচের মাটিও খনন করা হয়। এর কিছু দিন পরেই সেতুর এক অংশ ভেঙে পড়ে। তখনকার এমপি মরহুম আব্দুল মতিন খসরু সাহেব সাথে সাথে দেখতে আসে। এবং দ্রুত সংস্কার করে দেবে বলে আশ্বাস দেন। এরপরে উপজেলার চেয়ারম্যান, ইউএনও, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সবাই করে দেবে বলে  প্রতিশ্রুতি দিয়ে যায় কিন্তু কেউ আর করে দেয় না।
তাই নিজেদের অর্থায়নে মানুষের বাড়ি ঘুরে বাঁশ সংগ্রহ করে পাকা সেতুর ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো তৈরি করি। এই সেতুটি নিয়ে আমরা দীর্ঘ দিন যাবৎ যন্ত্রণা পোয়াচ্ছি। কেউ অসুস্থ হলে সময় মতো ডাক্তারের কাছে নেওয়াও সম্ভব না। কারণ যে সেতুতে মানুষ উঠাই ঝুঁকিপূর্ণ সেই সেতুতে গাড়ি উঠবে কিভাবে। আমরা কয়েক গ্রামের মানুষের একটাই দাবি আমাদের এই ভাঙা সেতুটি যেন দ্রুত সংস্কার করে দেয়।
৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. জাবেদ বলেন, আমি এই ওয়ার্ডের মেম্বার।  আমার ওয়ার্ডে সকল মানুষের একটাই চাওয়া ব্রীজটা যেন করার ব্যবস্থা করে দেই। আমি চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে বলার দরকার বলছি কিন্তু আমি জনগণের এই দাবিটি পূরণ করতে পারছি না। চেয়ারম্যান,উপজেলা চেয়ারম্যান, এমপি সবার কাছে একটাই চাওয়া সাধারণ মানুষের এই ছোট্ট দাবিটি যেন দ্রুত পূরণ করে দেয়।
এবিষয়ে ৩নং চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, এই ব্রীজটি অনেক দিন ভেঙে পড়ে আছে আমি নিজেও এদিক দিয়ে যেতে সমস্যা হয়। সবাই বলে করে দেবে কেউ আর করে দিচ্ছে না।  এতদিন শুনেছি টেন্ডার হইছে কিন্তু আমি ঐদিন খোঁজ নিয়ে দেখলাম এখনো টেন্ডার হয় নাই। কেন হয় নাই জানতে চাইলে ইঞ্জিনিয়ার বলেন এখন জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি তাই টেন্ডার হচ্ছে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার( ইউএনও)  সোহেল রানা কিছু বলতে রাজি হয়নি বরং সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন।

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন