বুড়িচং(কুমিল্লা) সংবাদদাতা
কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জরইন গ্রামের জরইন গাউছিয়া হাফিজিয়া দরবার শরীফে আসা-যাওয়ার মূল রাস্তাটিতে বাঁেশর বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
দরবার শরীফের গদ্দিনশীণ মোঃ শাহাদাত হোসেন ভুইয়া গত ৩১ আগষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কুমিল্লার কার্যালয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,বুড়িচং উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জরইন গাউছিয়া হাফিজিয়া দরবার শরীফে আসা-যাওয়ার মূল সড়কটিতে একই গ্রামের হারুন অর রশিদ ও সৈয়দ আহাম্মদ গং বাঁশ ও গাছের ডালা দিয়ে বেড়ার মাধ্যমে রাস্তাটি ঊহৃ করে দেয়। এতে বিভিন্ন এলাকা থেকে দরবার শরীফে আসা ভক্তবৃন্দের খুবই কষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে দরবারের ভক্তবৃন্দ ও এলাকার সাধারন মানুষ তাদের নিত্য দিনের কর্মকান্ডে এই রাস্তাটি ব্যবহার করে আসছে। বর্তমানে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সাবেক ৭২৮ বর্তমানে ১০৯৩ দাগের ৬ শতক জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি বুড়িচং রাজাপুর রেলস্টেশনের সড়কের সাথে সংযোগ হয়েছে। হারুন অর রশিদ ও সৈয়দ আহাম্মদ গংরা সরকারী রাস্তাটিকে নিজেদের নামে খতিয়ান সৃজন করার জন্য বিভিন্ন কলা-কৌশল অবলম্বন করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,জরইন গাউছিয়া হাফিজিয়া দরবার শরীফের বর্তমান গদ্দিনশীন মোঃ শাহাদাত হোসেন ভুইয়ার সাথে পাশর্^বর্তী সৈয়দ আহাম্মদ ও হারুন অর রশিদ গংদের পানি নিঃষ্কাশন নিয়ে বিরোধের জের ধরে দরবার শরীফের মূল রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশী বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও সঠিক সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
অভিযোগকারী মোঃ সাহাদাত হোসেন ভুইয়া বলেন, আমার বড় ভাই মোঃ আবদুল জলিল ভুইয়া ও আমি নিজের অর্থায়নে জমি ক্রয় করে দরবার শরীফে আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে রাস্তা তৈরী করে সরকারী রাস্তার সাথে সংযোগ করে দেই। কিন্ত গত কয়েক সপ্তাহ আগে সৈয়দ আহাম্মদ ও হারুন অর রশিদ গং পরিকল্পিত ভাবে আমার ভক্তবৃন্দুদের কষ্ট দেওয়ার জন্য রাস্তার মাথায় বাঁশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করেছে। এতে আমি স্থানীয়দেরকে অবহিত করে কোন প্রকার সমাধান না পেয়ে গত ৩.১ আগষ্ট অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ভূমি কুমিল্লার নিকট একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
সৈয়দ আহাম্মদ মাষ্টার বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে রাস্তার পাশের পতিত জমিতে পানি জমাট হয়ে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। শাহাদাত হোসেন ভুইয়া দরবার শরীফের কাজ করতে গিয়ে পানি নিঃষ্কাশনের নালাটি ভরাট করে ফেলেছে। তাই আমরাও তার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছি। সে পানি নিঃষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দিলে আমার রাস্তার বেড়া খুলে দেব।
এই ব্যাপারে বুড়িচং সদর ইউনিয়নের তহসিলদার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ভুইয়া বলেন, আমাদের নিকট একটি অভিযোগপত্রের কপি উপজেলা ভুমি অফিস থেকে এসেছে। আমরা অভিযোগের আলোকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য রিপোর্ট প্রদান করব।
কমেন্ট করুন