1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২০ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ

বুড়িচংয়ে আমন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষক কিশাণিরা

  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৮ বার পড়া হয়েছে

বুড়িচংয়ে আমন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক কৃষাণিরা

বুড়িচং, (কুমিল্লা) প্রতিনিধি।


সব শঙ্কা কাটিয়ে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে। উপজেলার সর্বত্রই উৎসবমুখর পরিবেশে আমন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। আমন রোপণের শুরু থেকেই একের পর এক দুর্যোগ দেখা দিলেও ভালো ফলন এবং ভালো দাম থাকায় ঘাম জড়ানো পরিশ্রম ভুলে গিয়ে এখন কৃষকের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। সরেজমিনে উপজেলার কয়েকটি গ্রামে দেখা গেছে, সর্বত্রই আমন ধান কাটার ধুম পড়েছে একযোগে। কৃষকরা যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী দৈনিক হাজিরায় কাজের লোক নিয়ে নিজে উপস্থিত থেকে ধান কাটছেন। কেউ কেউ আবার চুক্তিতে ধান কাটার কাজ করাচ্ছেন। কৃষকদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরাও আমন ধান কাটার কাজে সহায়তা করছেন। খড় ও ধান সংগ্রহের সুবিধার জন্য প্রথমে ধান গাছগুলো কেটে জমিতে বিছিয়ে রাখছেন রোদে শুকানোর জন্য। দুই-তিন দিন ভালোভাবে শুকিয়ে আঁটি বেঁধে একটি স্থানে জমা করছেন। পরে জমিতে মোটা পলিথিন বিছিয়ে পুরাতন ড্রাম বা গাছের গুঁড়ি বিছিয়ে ধান থেকে খড় আলাদা করছেন। কেউ কেউ আবার মেশিনের সাহায্যে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন। পরে ধানগুলো রোদে শুকিয়ে ঘরে তুলছেন। সেখান থেকে ঘরের লোকজনের খাবারের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ধান রেখে বাকিটুকু বাজারে বিক্রি করছেন। আবার কোনো কোনো কৃষক বেশি দামে বিক্রির আশায় সব ধানই সংগ্রহ করে রাখছেন। বাংলা অগ্রহায়ণ মাসের প্রথম দিন থেকেই এখানকার কৃষকরা আমন ধান কাটা শুরু করেন। গ্রামের অধিকাংশ পরিবারই কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাই তারা এ ফসলটাকে উৎসবমুখর পরিবেশে কেটে ঘরে তোলেন। এ সময় গ্রামের প্রতিটি ঘরে ঘরেই শুরু হয় নবান্ন উৎসব। এদিকে সোনালি পাকা ধানের ম ম গন্ধে ভরে গেছে রোপা আমনে ফসলের মাঠ। ইতোমধ্যে আগাম জাতের রোপা আমনের পাকা ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায়। আর সকাল থেকে ধান কাটা- মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। সঙ্গে যোগ দিয়েছেন তাদের পরিবারের সদস্যরাও। ফসলের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ময়নামতি ,ভারেল্লা, ,ষোলনল,  বাকশীমূল , রাজাপুর ও পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নে এবার ৮ হাজার ৯৩ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বাকশীমূল ও রাজাপুর ইউনিয়নে শতভাগ আর অন্যান্য  ইউনিয়নে ৩০/৪০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। রাজাপুর ইউনিয়নের কৃষক জজু মিয়া জানিয়েছেন, আমন ধান চাষ করা হয়েছে  উঁচু জমিতে। আর প্রতি কিয়ারে (৩০ শতাংশে এক কিয়ার) উঁচু জমিতে প্রতি কিয়ারে ১২ থেকে ১৩ মণ ধান হয়েছে এবং নিচের জমিতে প্রতি কিয়ারে ১৫ থেকে ১৬ মণ করে ধান উৎপাদন হয়েছে। কোনো কোনো জমিতে আরও বেশি ধান পাওয়া গেছে। উপজেলা কৃষি অফিসার আফরিণা আক্তার  জানান, এ বছর ফসল ভালো হয়েছে বলে অনেক কৃষকেই জানিয়েছেন। আমি নিজেও এলাকা ঘুরে দেখেছি। আর কৃষকদের চারা রোপণ থেকে শুরু করে কেটে গোলায় তোলার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত আমিসহ আমার কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন