বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের ঘনিষ্ট বন্ধু রাষ্ট এবং বৃহৎ ব্যবসায়িক অংশীদার। ভারতের বাজারে বাংলাদেশের পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। বাণিজ্য সহজ করলে বাংলাদেশের পণ্য রফতানি অনেক বাড়বে এবং উভয় দেশের বাণিজ্য ব্যবধান কমে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দফতরে ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তুলনামূলক কম দামে সরবরাহ করতে সক্ষম। এজন্য স্থলবন্দরগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজন। বাণিজ্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিদ্যমান জটিলতা দূর করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরো বলেন, বর্ডার হাটগুলো উভয় দেশের মানুষের মধ্যে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যের মানুষ উপকৃত হয়েছে। ভিসা ইস্যু সহজ হলে মানুষের যাতায়াত বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ভারতের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের সাথে ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্য ও সহযোগিতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। আকাশপথের পাশাপাশি সড়ক ও নৌপথে যোগাযোগ উন্নত হয়েছে। এর ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহজ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, রেলপথে কনটেইনারের মাধ্যমে পণ্য পরিবহনের কারণে উভয় দেশ উপকৃত হয়েছে। সড়কপথের পাশাপাশি ট্রেন যোগাযোগ স্থাপনের ফলে উভয় দেশের মানুষ উপকৃত হয়েছে। পেট্রোলিয়ামজাত পণ্য পরিবহনের জন্য পাইপ লাইন নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করা যায় আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে এ পাইপলাইন ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
হাইকমিশনার আরো বলেন, ভারতের মধ্যদিয়ে নেপাল ও ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করলে বাংলাদেশ উপকৃত হবে। আশা করা যায়, আগামী দিনগুলোতে উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে।
কমেন্ট করুন