বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, পৃথিবী চায় নিরপেক্ষ নির্বাচন কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার চায় না। জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় জনগণকে তাদের এতো ভয়।
তিনি বলেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যারা এমপি হয়েছেন জনগণ তাদেরকে সংসদ থেকে বের করে নিয়ে আসবে। জনগণের বিজয় অতি সন্নিকটে। এই দানবীয় সরকারের পতন ঘটিয়ে মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। ৯০-এর চেতনায় গণঅভ্যুথান সৃষ্টি হবে। এই আন্দোলন হবে জনগণের আন্দোলন, দেশ ও গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করে আবারো প্রমাণ করবে বিএনপি জনগণের দল।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার দাবি মতে সংবিধানে সংযোজিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হতে হবে। আইয়ুব গেছে, ইয়াহিয়া গেছে, এরশাদ গেছে, এ সরকারকেও যেতে হবে। গত ৪ মাসে ১০ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করে শেখ হাসিনার হাত রক্তে রঞ্জিত করেছে। দশজন কেন, দশ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করলেও শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে বিদায় না করে জনগণ রাজপথ ছাড়বে না।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, পুলিশসহ রাষ্ট্রের সব কাঠামো শেখ হাসিনা ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা ১৪ সাল, ১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে চায়। আমার ভোট সরকার দিবে, এই নির্বাচন এবার জনগণ হতে দিবে না।
শুক্রবার সকালে গাজীপুর মহানগর বিএনপি আয়োজিত ‘বিএনপি ঘোষিত যুগপৎ আন্দোলনের ১০ দফা দাবি ও রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রূপরেখার ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর টেকনগপাড়ায় সাগর সৈকত কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ।
বেনজির আহমেদ টিটু বলেন, গণতন্ত্র মানেই জিয়া পরিবার, আর আওয়ামী লীগ মানেই গণতন্ত্রের ধ্বংস।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম বলেন, আর যেন কোনো স্বৈরাচার গণতন্ত্রকে হত্যা করতে না পারে সেজন্যই বিএনপি ঘোষিত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১০ দফা ও রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ২৭ রূপরেখা যেকোনো মূল্যে বাস্তবায়ন করতে হবে।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম শামীম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব মো: শওকত হোসেন সরকার।
সভায় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি নেতা ড. অ্যাডভোকেট শহীদউজ্জামান, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, আহমেদ আলী রুশদী, মাহবুবুল আলম শুক্কুর, বসির আহমেদ বাচ্চু, সিটি কাউন্সিলর হাসান আজমল ভূইয়া, সরকার জাভেদ আহমেদ সুমন, সিটি কাউন্সিলর মোছলেম উদ্দিন চৌধুরী মূসা, তানভীর সিরাজ, সবদের হাসান, আব্দুর রহিম খান কালা, সাংবাদিক দেলোয়ার হোসেন, কাজী মোস্তফা জামান খোকন, আনোয়ারা বেগন, খাদিজা আক্তার বীণা, মহানগর স্বেচ্ছা সেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী সালাহ উদ্দিন, মহানগর কৃষকদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান, যুবদল নেতা শওকত, কৌশিক খানসহ নগরীর ৫৭টি ওয়ার্ড থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
কমেন্ট করুন