স্টাফ রিপোর্টার
পলাশীর প্রান্তরের বিশ্বাস ঘাতক মীর জাফর ও ঘোষেটি বেগমরা বেচেঁ না থাকলেও আজ তাদের বংশধর কুশিলবরা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও মানচিত্রকে আধিপত্যবাদীদের পদতলে সমর্পন করেছে। দেশ এখন আধিপত্যবাদ ও ব্রাক্ষন্যবাদীদের চারন ভুমিতে পরিনত হয়েছে মন্তব্য করে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, পলাশী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশবিরোধী শক্তিকে রুখে দাড়াতে হবে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে বিশ্বাসঘাতকদের কারণে বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়েছিল ১৯০ বছরের জন্য। ইস্ট ইন্ডিয়ার ফাঁদে পড়ে বিশ্বাসঘাতক চক্র শুধু দেশের স্বাধীনতাই বিকিয়ে দেয়নি, ভারতে ইংরেজ শাসনের পটভূমিও সৃষ্টি করেছিল।
তিনি বলেন, পলাশীর প্রান্তরে কোন যুদ্ধ হয়নি, হয়েছিল যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা। ভবিষ্যৎ চিন্তা না করে সন্ধি ও চুক্তি না করলে যে ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে পলাশী আমাদের সামনে সেই শিক্ষা হয়ে আছে। বিশ্বাস ঘাতকদের প্রতি ক্ষমা যে বিপদ ডেকে আনে, তারও শিক্ষা রয়েছে পলাশী ট্রাজেডির মধ্যে।
তিনি আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টায় নয়াপল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর দক্ষিন আয়োজিত ২৩ জুন ঐতিহাসিক পলাশী ট্রাজেডী দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
লেবার পার্টির মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান বলেন, পলাশীর প্রান্তরে নবাব পরাজয় বরণ করেননি। পরাজয় হয়েছে বিশ্বাস ঘাতকদের। পলাশীর সঙ্গে আমরা বর্তমান সময়ের মিল দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানেও দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ চতুর্মুখী আগ্রাসনের অসহায় শিক্ষার। জাতিকে দেশপ্রেম থেকে দূরে রাখতে পরিকল্পিতভাবে দু’ভাগে বিভক্ত করে রাখা হয়েছে। সে জন্যই দেশের খ্যাতিমান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকে বর্তমান সরকার বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে চরিত্র হননের পথে নেমেছে। তাই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে বর্তমানের মীর জাফরদের চিহ্নিত করতে হবে।
ঢাকা দক্ষিন লেবার পার্টির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। প্রধান বক্তা ছিলেন লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধাদলের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযুদ্ধো শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মিলন, লেবার পার্টির মহিলা সম্পাদিকা নাছিমা নাজনিন সরকার, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জাকির হোসেন, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন ও সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
কমেন্ট করুন