ভোলার চরফ্যাশনের আছলামপুর ও ওমরপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকার মনোনীত দুই প্রার্থিই হেরেছেন। ওমরপুর ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী এ কে এম সিরাজুল ইসলাম আনারস প্রতীক ৫০৫৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম রিজন পেয়েছেন ৩৬৮০ ভোট। আসলামপুর ইউপিতে ৪০৫০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আবুল কাশেম মিলিটারি। তার নিকটতম নৌকা প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নুরে আলম মাস্টার পেয়েছেন ৩৬৭৭ ভোট।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) তফসিল অনুযায়ী ইভিএমের মাধ্যমে এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটজন। তারা হলেন আসলাম পুর ইউপিতে নুরে আলম মাস্টার আওয়ামী লীগ (নৌকা), আবুল কাশেম মিলিটারি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র (আনারস), সাইফুল ইসলাম ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা), ওমরপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ (নৌকা), রিয়াজুল ইসলাম রিজন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী-স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) এ কে এম সিরাজুল ইসলাম, স্বতন্ত্র (মোটরসাইকেল) জাফর উল্লাহ খান, স্বতন্ত্র (ঘোড়া) পারভেজ, ইসলামী আন্দোলনের (হাতপাখা) গোলাম মোরশেদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
অন্যদিকে বিএনপি-জামায়াত, জাতীয় পার্টির প্রার্থী না থাকায় তাদের সমর্থন করেছেন বিদ্রোহী প্রার্থীর দিকে। ভোটারদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে।
ভোটাররা জানান, দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হলেও স্থানীয়ভাবে নানা বিষয় বিবেচনা করে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। এতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
দুই ইউপিতে ১১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদে আটজন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ২৩ জন, মেম্বার পদে ৭৯ জন।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি কোস্ট গার্ডসহ বিভিন্ন প্রশাসন নির্বাচনী মাঠে কাজ করেছে। ভোটাররা যেনো ভোট দিতে পারেন এজন্য নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একটি উৎসবমুখর ভোটের
পরিবেশে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে বৃহত্তম আছলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। মেয়াদের শেষের দিকে ২০১৪ সালে বৃহত্তম আছলামপুর ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ওমরপুর ইউনিয়ন নামে আরো একটি নতুন ইউনিয়ন রূপান্তার করা হয়। নতুন ইউনিয়ন বিভক্তিকালে লালমোহন উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের সাথে চরফ্যাশনের আছলামপুর ও ওমরপুর
ইউনিয়নের ভোটার বিন্যাস ও সীমানা বিরোধ নিয়ে মামলার জটিলতার কারণে এই দুই ইউপিতে নির্বাচন স্থগিত ছিল প্রায় দীর্ঘ এক যুগ। গত ১৭ অক্টোবর এই দুই উপজেলার তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী ২৮ নভেম্বর ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
কমেন্ট করুন