ইন্দোনেশিয়ায় জাভা দ্বীপে সোমবারের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৮তে উঠেছে, তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা এজেন্সি তাদের সবশেষ ঘোষণায় বলেছে, এখনো আরো ১৫১ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার ভূমিকম্পটি জাভার পার্বত্য এলাকায় আঘাত হানে সোমবার। এর ফলে যে ভূমিধস হয় তাতে কোথাও কোথাও পুরো গ্রাম মাটিচাপা পড়েছে।
কমপক্ষে ২২ হাজার বাড়ি ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়েছে এবং ৫৮ হাজারেরও বেশি লোক বাড়িঘর হারিয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে।
উদ্ধারকারীরা ধংসস্তুপের ভেতর থেকে বেঁচে যাওয়া লোকজন খুঁজছেন।
জাতীয় অনুসন্ধান ও উদ্ধার এজেন্সি বলছে, নিহতদের অনেকেই শিশু – যারা দুপুর একটায় ভূমিকম্প আঘাত হানার সময় স্কুলে ছিল। আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি লোক।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের একটি সক্রিয় ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকার ওপর ইন্দোনেশিয়া দেশটি অবস্থিত – যাকে বলা হয় রিং অব ফায়ার। এ দেশটিতে আগেও বহুবার মারাত্মক কিছু ভূমিকম্প ও সুনামি হয়েছে। সবশেষ ২০১৮ সালে সুলাওয়েসি দ্বীপে একটি ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি লোক নিহত হয়।সোমবারের ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মাটির ৬ মাইল নিচে, এবং প্রথম দফার পর অনেকগুলো ছোট ছোট ভূকম্পন হয় – যাতে দুর্বল কাঠামোর ওপর তৈরি করা বাড়িঘরগুলো ভেঙ্গে পড়ে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়।
প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ভূমিকম্প উপদ্রুত একটি প্রত্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
রিখটার স্কেলে ৫.৬ মাত্রার এই ভূমিকম্পটির আঘাতের কেন্দ্র ছিল ইন্দোনেশিয়ার প্রধান দ্বীপ জাভায় পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর চিয়ানজুর।
চিয়ানজুর থেকে ১০০ কিমি দূরে রাজধানী জাকার্তায়ও প্রায় এক মিনিট ধরে বেশ জোরে ভূকম্পন অনুভূত হয়।
সে সময় রাজধানীর উঁচু ভবনগুলো থেকে আতঙ্কে মানুষজন ছুটে বাইরে বেরিয়ে আসে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ভিডিওতে বিধ্বস্ত বহু বাড়িঘর ও দোকানপাট দেখা গেছে। বিধ্বস্ত ভবনগুলোর মধ্যে একটি হাসপাতাল ও একটি আবাসিক মাদরাসাও রয়েছে।
ভূকম্পটি মূলত যে অঞ্চলে আঘাত করেছে সেগুলো বেশ ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা ছিল।
কমেন্ট করুন