গোমতী নদীর চরে অবাধে মাটি কাটা কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না। দিনে রাতে কাটা হয় গোমতীর দুই তীরের ফসলি উর্বর মাটি। প্রকাশ্যেই ট্রাক্টরে করে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন নির্মান কাজে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, পানি উন্নয়ণ বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি শক্তিশালী দপ্তরের নজরদারি থাকা সত্ত্বেও গোমতী যেন অভিভাবকহীন। অভিযানে কিছু দিন মাটিখেকোদের ধরপাকড় ও ধাওয়া করা হলেও পরিস্থিতি শান্ত হলেই আবারো শুরু হয় মাটিকাটার উৎসব। প্রশাসনে রদবদল হলেও বদল হয় না গোমতীর বুক চিরে খাওয়ার দৃশ্য। বিভিন্ন সভায় মাটি কাটা বন্ধ নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে দাবি দাওয়া এখন পরিনত হয়েছে অসহায় আর্তনাদে। নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলমের সাথে সাংবাদিকদের প্রথম মতবিনিময় সভায়ও গোমতী রক্ষার দাবি তুলেছেন সাংবাদিকরা। বিগত জেলা প্রশাসকদের মত মোহাম্মদ শামীম আলমও জানিয়েছেন, কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে রক্ষা করা হবে গোমতীকে। স্থানীয় বাসিন্দা রজব আলী, শাহ আলম ও সেতারা বেগম বলেন, ওপর মহলের সব কিছু ম্যানেজ করেই এসব করছে, শক্তিশালী চক্রটি রাজনৈতিক পশ্রয়ে দিনের পর দিন এভাবেই মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। গোমতী চরের ফসলি জমি নষ্ট করছে, আমরা কিছু বললে আমাদের ভয়ভীতি দেখায়। প্রশাসন অভিযান চালালে একদিন বন্ধ থাকে তবে পরদিনই আবার মাটি কাটা শুরু হয়। এর কারণে এক সময়কার খরস্রোতা গোমতী নদী দিন দিন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।
দেবিদ্বার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো.কামাল উদ্দিন জানান, দেবিদ্বার কালিকাপুর এলাকায় থেকে যারা অবৈধ ভাবে গোমতী নদী থেকে মাটি কাটছে একাধিক বার অভিযান চালিয়ে ট্রাক্টর আটক ও জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু কোন কাজই আসছে না।
দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ডেজী চক্রবর্তী বলেন, গোমতী নদীতে মাটি কাটার দায়ে ইতোমধ্যে অভিযান পরিচালনা করেছি। অভিযানে দুটি ট্রাক্টর জব্দ করা হয়েছে। আরও অভিযান চালানো হবে। |
কমেন্ট করুন