স্টাফ রিপোর্টার
আর্ন্তজাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানবাধিকার সুরক্ষার দাবিতে গণঅধিকার পরিষদের আলোচনা সভা ও র্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকালে দলের পল্টনের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। পরে গণঅধিকার পরিষদের পল্টন কার্যালয় থেকে শুরু করে, পল্টন মোড় ও বিজয় নগর পানির ট্যাংকির মোড় হয়ে দলীয় কার্যালয়ের নিচের রাস্তায় নেতাকর্মীরা র্যালি করে।
র্যালী শুরুর আগে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, ‘আপনারা সরকারের কথায় মানবাধিকার লঙ্ঘন করবেন না। আজকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস, এই দিবসটি সারাবিশ্বে পালন করে অথচ বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার নাই। সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পথচারীদের মোবাইলে ফেসবুক, হোয়াসআ্যাপ ও গ্যালারি চেক করছে। একাত্তর সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনী মানুষকে উলঙ্গ করে দেখতো সে হিন্দু নাকি মুসলমান, ঠিক একই কায়দায় সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের মোবাইল চেক করে দেখছে, সে বিএনপি নাকি আওয়ামী লীগ করে, যা ব্যক্তি স্বাধীনতা ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন।’
নুর বলেন, ‘সরকার ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে আইসিইউতে আর মানবাধিকারকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছে। গত ১৩ বছর ধরে সরকার বিরোধী দলের অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে। তারপরও গণতন্ত্রকামী মানুষের লড়াই থামাতে পারে নাই। আইসিইউতে থাকা গণতন্ত্রকে সেবা করে সুস্থ করার জন্য গণতন্ত্রকামী আপসহীন মানুষদের সাথে নিয়ে আজকে মানবাধিকার দিবসেও রাজপথে নেমেছে গণঅধিকার পরিষদ। আমরা আজকে আর্ন্তজাতিক দিবসে সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন ও ত্রাস সৃষ্টি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
নুর আরো বলেন, ‘আপনারা দেখেন বিএনপি ৯টি বিভাগীয় সমাবেশ করেছে কোথাও তারা গাড়িতে একটা ঢিলও দেয়নি; এমনকি বিন্দু পরিমাণ বিশৃঙ্খলা করেনি। এমন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের নজির বাংলাদেশের ইতিহাসে গত ৫০ বছরে নেই। বিএনপি সারাদেশে বিভাগীয় সমাবেশ শেষ করে যখন ঢাকায় বিভাগীয় সমাবেশের ঘোষণা করেছে, তখন সরকার নিজদের পতনের ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে সারাদেশে যুদ্ধের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সরকার অঘোষিত হরতাল ঘোষণা করে পরিবহন বন্ধ করে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলেছে, কষ্ট দিচ্ছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী যেভাবে হুমকি দিচ্ছেন হাত ভেঙ্গে দেবেন, তার নেতাকর্মীরা যেভাবে ভয় দেখাচ্ছেন, তা কোনো সভ্য দেশের ঘটনা হতে পারে না। এসব করে পৃথিবীর কোনো দেশে গণতান্ত্রিক আন্দোলন দমন করা যাবে না, বাংলাদেশের এই স্বৈরাচারের পতন অনিবার্য।’
এ সময় গণঅধিকার পরিষদ এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কমেন্ট করুন