মোঃ রবিউল আলম, মালদ্বীপ থেকে

মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনের উদ্যোগে  মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে গত ২১ই ফেব্রুয়ারী (সোমবার ) ২০২২ তার দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোঃ সোহেল পারভেজ।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয় । ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় ।
দিনটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব মো: মিজানুর রহমান ভূঁইয়া স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর প্রবাসী বাংলাদেশীদের পক্ষ হতে বক্তব্য প্রদান করেন প্রবাসী শিক্ষক মীর সাইফুল ইসলাম। এরপর শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বিষয়ক একটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোঃ সোহেল পারভেজ তাঁর বক্তব্যের শুরুতে ১৯৪৭ সালের এই দিনে বাংলা ভাষাকে প্রতিষ্ঠিত করার আন্দোলনে, যে সকল শহীদ তাদের জীবন উৎসর্গ করেছে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার বলেন, মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধিকার আন্দোলন শুরু হয় এবং পরবর্তীতে স্বাধীনতা এ আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন বাংলাদেশের মহান স্থপতি এবং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ উল্লেখ করেন। । তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদেরকে ভাষা আন্দোলন, দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে মাতৃভাষার চর্চা ও বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিতি ছিলেন, এনবিএল মানিট্রান্সফার মালদ্বীপ প্রাইভেট লিমিটেডে এর সিইও মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, আওয়ামীলীগ মালদ্বীপ শাখার সভাপতি আলহাজ্ব মো: দুলাল মাদবর, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের (মালদ্বীপ) অপারেশন ম্যানেজার মো. শরিফুল ইসলাম, ভিউ কম্পানী প্রা: লি: এর পরিচালক মো: দুলাল হোসেন। সামাজিক সংগঠন (ESWA) এর উপদেষ্ঠা মো: হাদিউল ইসলাম প্রমূখ।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশী শিশুদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মহামারীর কারণে উক্ত অনুষ্ঠানে সীমিত সংখ্যক অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে নৈশ্যভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।