প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা বিঘ্নিত এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার দাবি করে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক নেতৃবৃন্দের পক্ষে সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে এম আজিজুল হক ও সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এ ডেজ এম জাহিদ হোসেন এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯:১৫টায় রাজধানীর শাহীনবাগে গুম হওয়া সাজেদুল ইসলাম সুমনের পরিবারের সাথে সাক্ষাত করতে গেলে ‘মায়ের কান্না’ নামধারী একটি সংগঠনের ব্যানারে কতিপয় লোক তাকে একটি স্মারক লিপি দেয়ার নামে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরী করে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে দেখা যায়, কতিপয় ব্যক্তি তার দিকে ও তার গাড়ির দিকে ঔদ্ধাত্যপূর্ণভাবে এগিয়ে যায়, যা অগ্রহণযোগ্য। কয়েক বছর পূর্বে আমেরিকার আরেকজন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের ওপরও বর্তমান সরকারের দলীয় কতিপয় ব্যক্তি হামলার ঘটনা
ঘটিয়েছিল। একটি দেশের রাষ্ট্রদূতের ওপর হামলা বা অসৌজন্যমূলক আচরণ সেই দেশের প্রতি হুমকি স্বরূপ এবং সেই সাথে বাংলাদেশে অবস্থানরত অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিদের প্রতিও হুমকি স্বরূপ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা বিএমএ’র সাবেক নেতৃবৃন্দ এহেন কর্মকাণ্ডে সারা বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হওয়ায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও শঙ্কিত। বর্তমান সরকার সারা দেশে অগণতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে যেভাবে দেশের মানুষের নিরাপত্তা প্রদানে ব্যর্থ, তারই ধারাবাহিকতায় বহির্বিশ্বের প্রতিনিধিদের নিরাপত্তা প্রদানেও ব্যর্থ। পারিপার্শ্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে মনে হয় পরিকল্পিতভাবেই এসব ঘটনা ঘটানো হয়।’
এত আরো বলা হয়, কিন্ত এতে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে কোন তলানিতে পৌঁছেছে তা উপলব্ধি করার সক্ষমতাও এ সরকারের নেই বলেই মনে হয়। তাই তারা একের পর এক কূটনৈতিক শিষ্টাচার-বহির্ভূত কর্মকাণ্ড ও নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে যাচ্ছে। আমরা বিএমএ-এর সাবেক নেতৃবৃন্দ এহেন ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের এবং তাদের পিছনের হোতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে দেশের ভাবমূর্তিকে পুনরুদ্ধারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কমেন্ট করুন