বুড়িচং(কুমিল্লা) প্রতিনিধি
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের আজ্ঞাপুর গ্রামের আমজাদ ডিলারের বিরুদ্ধে একই গ্রামের আবু সায়েম মোহাম্মদ মোহসিনুল ঘশ বুড়িচং উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির কার্যালয়ে গত ৫ আগষ্ট কৃষি জমি দখল করে জোরপূর্বক পুকুর খনন রোধ করার জন্য একটি লিখিত অভিযোদ দাখিল করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমজাদ হোসেন ডিলার দীর্ঘদিন ধরে কৃষি জমি দখল করে অবৈধ ডেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি কেটে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে এবং নিত্যদিনের খাদ্যের যোগান দেওয়ার পন্য ধান উৎপাদনের জমি গুলো ধংস করে দিচ্ছে। আজ্ঞাপুর গ্রামের মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে আবু সায়েম মোহাম্মদ মোহসিনুল হকের উত্তর কালিকাপুর ওরফে খোদাইধূলী মৌজার জে এল নং-১০৪, বি.এস খতিয়ান নং- ৯১, বি.এস দাগ নং-৫৬০ এর ৪৭ শতক কৃষিজমি জোরপূর্বক দখল বিনা অনুমতিতে ভেকো ও বোরিং মেশিন স্থাপন করে মাটি কাটা অব্যাহত রেখে ফসলী জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধন করছে।
অভিযোগকারী আবু সায়েম মোহাম্মদ মোহসিনুর হক জানান, আমাজ হোসেন ডিলার গত ২/৩ বছর ধরে প্রায় কয়েক শত একর কৃষি জমির নষ্ট করেছে। তার প্রভাবে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। সে আমার নিজের ৪৭ শতক কৃষি জমির মাটিও জোরপূর্বক দখল করে কেটে নিচ্ছে। আমি উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমির নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি। আমাদের ঐহ্যবাহী ফসল ধান। এই ধানী জমিগুলোকে ভূমিদস্যূ আমজাদ ধংস করে দিচ্ছে।
গত ৭ আগষ্ট বিকেলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি শারমিন আক্তার ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভূমিদস্যু আমজাদ হোসেন ডিলারকে বিভিন্ন ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন ও বোরিং মেশিনের মাধ্যমে মাটি উত্তোলনের অভিযোগে ৫০ হাজার টাকা জমিরমানা করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ্ঞাপুর গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের ছেলে আমজাদ হোসেন ডিলার একজন চিহ্নিত ভূমিদস্যু। সে অন্যর জমি জোরপূর্বক দখল করে মাটি কেটে ও অবৈধ ড্রেজার মেশিন এবং বোরিং মেশিনের মাধ্যমে জমির নিচ থেকে বালু মাটি উত্তোলন করে বিক্রয় করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে। সে রাতের আধাঁওে সীমান্তবর্তী এলাকার পাহাড় টিলার মাটি ভেকু মেশিনের মাধ্যমে কেটে বিক্রয় করে বনাঞ্চলকে সাবার করে ফেলছে। তার ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ কোন কথা বলছে না ও প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। আমজাদ ডিলারের হাত থেকে স্থানীয় কৃষকরা নিরাপত্তা চাচ্ছে এবং তাদের কৃষি জমির রক্ষার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে বার বার অভিযোগ করলেও স্থানীয় প্রশাসন তাকে আটক করে সামান্য পরিমান জরিমানা করে ছেড়ে দেয়। প্রশাসনের হাত থেকে জরিমানা দিয়ে ছাড়া পাওয়ার পর আবারও ফসলী জমি দখল করে মাটি কাটা শুরু করে। এতে করে আমজাদ হোসেন ডিলার রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন।
আমজাদ হোসেন ডিলার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জরিমানার বিষয়ে কথা বলতে নারাজ। তবে এক পর্যায়ে স্বীকার করেন যে, তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে মাটি কাটার সাথে জড়িত নাই বলে জানান।
এই ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সারমিন আক্তার জানান, অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি কাটার অপরাধে আমজাদ হোসেন ডিলারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে যারা অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে মাটি কাটে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমেন্ট করুন