বুড়িচংয়ে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এতিমখানায় খাদ্য ও বস্ত্র সহয়তা করলেন হোপ ফাউন্ডেশন!
আনাস হুসাইন, বুড়িচং।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বাকশীমূল দক্ষিণপাড়া আহমদিয়া হাফেজিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্স ও অসহায়দের খাদ্য ও বস্ত্র সহয়তা করেছেন’হোপ ফাউন্ডেশন’।
(২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) বুধবার দুপুরে বুড়িচং উপজেলার বাকশীমূল ইউনিয়নের বাকশীমূল দক্ষিণপাড়া আহমদিয়া হাফেজিয়া এতিমখানা কমপ্লেক্সে এতিমদের ও অসহায়দের হাতে খাদ্য ও বস্ত্র তুলে দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হোপ ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার মো: রুহুল আমিন, কুমিল্লা জেলা কো- অডিনেটর মো: রিপন,কমপ্লেক্সের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মোঃ মহিবুল ইসলাম,সাংবাদিক ও গীতিকবি আক্কাস আল মাহমুদ হৃদয়,সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম নুমন, এতিমখানা কমপ্লেক্সের কার্যনির্বাহী সদস্য অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ মো: নুরুল ইসলাম।
বন্যা কবলিত কুমিল্লা,ফেনী,বুড়িচং,নোয়াখালী ও লক্ষীপুরসহ অন্যান্য জেলায় বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্য সমস্যা প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে।
কুমিল্লা জেলার স্বনামধন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ‘গোমতী হাসপাতাল’ এবং কক্সবাজার জেলার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান হোপ ফাউন্ডেশন ফর উইমেন এন্ড চিল্ডেন অব বাংলাদেশের অধীনে পরিচালিত ‘হোপ হসপিটাল’ যৌথভাবে এই ফ্রি স্বাস্থ্যসেবা ও ফ্রি ঔষধপত্র বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। বিভিন্ন এলাকায় আয়োজিত প্রতিটি স্বাস্থ্য ক্যাম্পে প্রায় ৪০০ জন গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ মহিলা, পুরুষ ও শিশু তাদের স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফ্রী চিকিৎসা পরামর্শ পাশাপাশি ফ্রী ঔষধ গ্রহণ করছেন।
হোপ হসপিটালের সিনিয়র ম্যানেজার ও বন্যার্তদের সহায়তা কর্মসূচির প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন একেএম জহিরুল ইসলাম এবং তাদের নির্দেশনায় এসব কার্যক্রম চলমান রয়েছে।তাদের দাতা সংস্থা ‘বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকাকে ধন্যবাদ জানান। এই ধরনের মানবতার কাজ ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে তারা প্রতিনিধিকে জানান।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, হোপ হসপিটাল ১৯৯৯ সালে কক্সবাজারের কৃতি সন্তান ডাক্তার ইফতিখার উদ্দিন মাহমুদ প্রতিষ্ঠা করেন আর প্রতিষ্ঠার পর থেকেই হাসপাতালটি অসহায় গর্ভবতী মহিলা, অসুস্থ মহিলা ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি কক্সবাজারের গন্ডি পেরিয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম বিভাগ ও বরিশাল বিভাগে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
কমেন্ট করুন