প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষ ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ‘ভোটারবিহীন নির্বাচনের’ সময় যেমনটা করেছিল ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকও সেভাবেই প্রত্যাখ্যান করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি ১০ ডিসেম্বরের জন্য (বিএনপির পক্ষ থেকে) বিশাল ঘোষণা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ অগ্নিসন্ত্রাসীদের প্রত্যাখ্যান করেছে, যারা (অতীতে) জাল ভোটার তালিকা তৈরি করেছে। দেশের মানুষ এখন তাদের শুধু প্রত্যাখ্যান করেনি, ১৯৯৬ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনেও প্রত্যাখ্যান করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের তৃতীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ভোটারবিহীন নির্বাচন করেছিল। অন্য কোনো রাজনৈতিক দল বা কোনো ভোটার ওই নির্বাচনে সাড়া দেয়নি।
তিনি বলেন, ভোট কারচুপির মাধ্যমে তারা জাতির পিতার খুনি রশিদ ও বজলুল হুদাকে সংসদ সদস্য বানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, জনগণ সেই নির্বাচনকে শুধু প্রত্যাখ্যানই করেনি, তারা আন্দোলনও শুরু করেছিল যা দেড় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়াকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে খেলা করা বিএনপির চরিত্র। তারা জনগণের দল নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে না, ক্ষমতাই তাদের লুটপাটের হাতিয়ার।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ জানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ তাদের জন্য স্বাধীনতা অর্জন করেছে।
তিনি আরো বলেন, এর মানে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে তখনই জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির অর্থই হলো- জুলুম-নির্যাতন, দুঃশাসন, লুটপাট, দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও বাংলা ভাই।
কমেন্ট করুন