বিশ্বকাপ ফুটবল এলেই বাংলাদেশের জনগণের আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের প্রতি ভালোবাসাটা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়, যা মাঝে মধ্যে রক্তারক্তিতেও পরিণত হয়। এই খবর চলে যায় বাংলাদেশ থেকে সাত সমুদ্র (আসলে তিন সমুদ্র দূরে) আর্জেন্টিনাতেও, মিডিয়ার কল্যাণে। ব্রাজিলের জনপ্রিয়তা অবশ্য সেভাবে প্রচার পায় না। বিশ্বকাপ এলেই তিনবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সব মিডিয়ায় বাংলাদেশের এই আর্জেন্টিনাপ্রেমটা উঠে আসে। যা জানেন চিলির অধিনায়ক বিশ্বকাপে খেলা ফুটবলার ইভান জামোরানো পর্যন্তও। কাতারে সংবাদ সম্মেলনে তো আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি বাংলাদেশকে ধন্যবাদই দেন সমর্থনের জন্য। তবে এবারের বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনার জন্য যেমন স্পেশাল তেমনি তাদের বাংলাদেশী সমর্থকদের জন্য। বিশ্বকাপটা আর্জেন্টিনার সাথে যেন বাংলাদেশেরও। এ কথাই জানান সে দেশের সাংবাদিক মাথিয়াস লিওনার্দো সালতোরি।
কাতার বিশ্বকাপে আসা আর্জেন্টিনার সাংবাদিক বা সাধারণ দর্শক যাদেরই কথা হয়েছে বাংলাদেশীদের তাদের সাথেই বাড়তি কদর ম্যারাডোনা-মেসির দেশের জনগণের। তাই তারা দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানের বিশ্বকাপের আনন্দটা বাংলাদেশের সাথেই ভাগাভাগি করছে। সাংবাদিক ম্যাথিয়াসের মতে, আমরা এই ট্রফি জয়ের উৎসবটা বাংলাদেশীদের জন্যও করছি। সেখানে আর্জেন্টিনার মতোই মেসিদের শিরোপা জয়ের উল্লাস হয়েছে।’ তরুণ এই সাংবাদিক যোগ করেন, মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছে মেসি, ডি-মারিয়ারা। আর মাঠের বাইরে এটা বাংলাদেশেরও জয়। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই প্রাণখোলা সমর্থনের জন্য।
এ দিকে বাংলাদেশের এই সমর্থনের জন্য ফুটবলে তাদের সহায়তা করার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে ভাবা শুরু করেছে আর্জেন্টিনা। ওলে পত্রিকার সাংবাদিক দিয়েগো মাসিয়াস জানান, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এখন চিন্তা ভাবনা করছে বাংলাদেশের ফুটবলকে কিভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে। একই কথা জানান কয়েকটি মিডিয়ার সাথে কর্মরত বর্ষীয়ান সাংবাদিক সার্জিও। ২০১৮ বিশ্বকাপে সাংবাদিকতা করা আর এবার স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করা আরেক ম্যাথিয়াস তথ্য দেন, এখন বুয়েনস আয়ার্সে (আর্জেন্টিনার রাজধানী) বাংলাদেশ দূতাবাস খোলা হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে আর্জেন্টিনার সহায়তা করাটা সহজই হবে। যা এএফএ এত দিন করতে পারেনি দূতাবাস না থাকায়।
এ জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে যোগাযোগ করার তাগাদা এই ক্রীড়া সাংবাদিকদের।
কমেন্ট করুন