লাঙ্গলকোট প্রতিনিধি
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে শামীমা আক্তার প্রিয়াকে হত্যার বিচারের দাবিতে দক্ষিণ শাকতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শাকতলী এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজালাল মানিক, সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কালাম, ব্যবসায়ী আবু ইউছুফ, মিজানুর রহমান, শামীমার বড় ভাই শরীফুল ইসলাম, ইউপি সদস্য আবুল কালাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে শামীমা আক্তারের দেবর রায়হান, শ্বাশুড়ি ফয়জুন্নেছা, ননদ মর্জিনা, জা শামছুন্নাহার ও শাহেদা বেগম পরিকল্পিতভাবে গলায় ফাঁস দিয়ে শামীমা আক্তারকে হত্যার পর লাশ ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রাখেন। ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজন পলাতক রয়েছেন। তারা এ ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শাকতলী উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক জহিরুল কাইয়ুম, শামীমার বাবা আবদুল মতিন, নানা মাস্টার আবু তাহেরসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মাস আগে আদ্রা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ শাকতলী গ্রামের আবদুল মতিনের মেয়ে শামীমা আক্তার প্রিয়ার সাথে উপজেলার হেসাখাল ইউপির হিয়াজোড়া বানাতুড়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে পারভেজের বিয়ে হয়।
নিহতের বাবা আবদুল মতিন বলেন, মেয়ের বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে আড়াই লাখ টাকার আসবাবপত্র ও স্বর্ণালঙ্কার দেয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তার মেয়ে জামাই পারভেজ বিদেশে পাড়ি দেন। বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা নিয়ে পারভেজের সাথে তার মা ফয়জুন্নেছার বিরোধ সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে পারভেজের মা শামিমাকে দায়ী করে। এর জের ধরে পরিবারের লোকজন শামিমাকে নির্যাতন করে হত্যা করে। এলাকাবাসী শামীমা হত্যার বিচারের দাবিতে শাকতলী বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
কমেন্ট করুন