কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা সহ১৬ টি উপজেলায় সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। মাঠ জুড়ে সরিষার হলদে হাসি, হলুদ ফুলে ছেয়ে গেছে ফসলের মাঠ । পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে সরিষার ফুল। যেদিকে তাকাই শুধুই হলুদের সমারোহ। সরিষা ফুলের রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত যেমন মাঠ, তেমনি বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকেরা।
ডিসেম্বর শেষে নতুন বছরের শুরুতে শীত বাড়ার সাথে সাথে এসব সরিষা ক্ষেতে দেখা দেয় ফুল। আর তা দেখলে মনে হবে যেন হলুদ গালিচা বিছানো। ভ্রমর মধু খুঁজে ফিরছে সরিষার ফুলে ফুলে। মধুমাখা ক্ষণে, প্রকৃতির সনে, সুবাসে মশগুল, সরষে ফুল। বিকেল বেলাতে, মৌমাছির খেলাতে, গুনগুন তোলে রব, চারিদিকে সৌরভ, কবির লেখা কবিতার মতোই অসাধারণ এ চিত্রপট ফুটে উঠেছে কুমিল্লার ১৬ টি উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠে। দৃষ্টিনন্দন এমন পরিবেশকে ক্যামেরা ফ্রেমে বন্দি করতে ব্যস্ত দর্শনার্থীরা।
কৃষকরা আগে এসব জমিতে শুধু ইরি-বোরো এক, দুই ফসল আবাদ করে হাজার হাজার হেক্টর জমি পতিত ফেলে রাখতেন। কালের বিবর্তনে এ অঞ্চলের কৃষকদেরও কৃষি ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটেছে। তারা বিগত সময়ে ইরি-বোরো, আমন, টমেটো, করোলা, লাউ, পটল, শীম, ভুট্টা, তরমুজ আবাদের পাশাপাশি সরিষায় ঝুঁকেছেন।
এ বছর কুমিল্লাতে বাম্পার সরিষার ফলন আশা করছেন কৃষক। কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করছেন। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবারে কুমিল্লা জেলায় ৮ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমের মতো এবারেও মুরাদনগর উপজেলায় ৫ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে সরিষা ফলনে শীর্ষে রয়েছে। এর পরেই ফলনের দিক থেকে রয়েছে ৭২০ হেক্টর জমিতে হোমনা এবং ৬৩০ হেক্টর জমিতে নাঙ্গলকোট উপজেলা।
কুমিল্লা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. মিজানুর রহমান জানান, অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় এবার কুমিল্লায় অনেক বেশি সরিষার আবাদ হয়েছে। অল্প পুঁজি ও কম শ্রমে বেশি লাভ হওয়ায় সরিষা চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। সরিষা চাষে পিছিয়ে নেই কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলাও। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বানিন রায় বলেন, এ উপজেলায় গত বছরও ভাল ফলন হয়েছে। এবার তা আরো বৃদ্ধি পাবে।
কমেন্ট করুন