1. shahalom.socio@gmail.com : admin :
  2. banglarmukh71@gmail.com : admin1 :
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০১:৪৯ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
কুমিল্লায় সুজানগরে মাদক বিরোধী সভা অনুষ্ঠিত। বুড়িচংয়ে পরিচিতি সভা ও শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত ফেনি কোস্ট ফাউন্ডেশনের গরুর খাবার বিতরণ বুড়িচং ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে ৪টি বসতঘর। বুড়িচং পূজা মন্ডব কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে বুড়িচং বিএনপির নগদ অর্থ প্রদান। কুমিল্লা সীমান্ত এলাকায় ১জন আটক বুড়িচং উপজেলার পূজা মন্ডবে গুজবরোধ ও নিরাপত্তার লক্ষ্যে ইউএনও সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময় সভা। বুড়িচংয়ে ৫১তম জাতীয় স্কুল, মাদরাসা ও কারগরি গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী দুর্গাপূজায় গুজব রোধে বুড়িচং প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে ইউএনও মতবিনিময় সভা বুড়িচংয়ে জামায়াতে ইসলামীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত া

এতিম সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন গৃহবধূ আসমা

  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২১৪ বার পড়া হয়েছে
  • নোয়াখালী প্রতিনিধি

দুই এতিম সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন নোয়াখালীর গৃহবধূ আসমা আক্তার। দু’বেলা দু’মুঠো ভাত জোগাড় করাই কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থের অভাবে হিফজ বিভাগের অধ্যয়নরত ছাত্র মোঃ মামুনের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নরোত্তমপুর গ্রামের চৌকিদার বাড়ির খোরশিদ আলমের মেয়ে আসমা আক্তার। ২০১২ সালে একই বাড়ির আমির হোসেনের পুত্র মোঃ মানিকের সাথে তার বিয়ে হয়।

মানিকের বাবা দিনমজুর। দেড় শতাংশের একটি ঘর ছাড়া আর কিছুই নেই। মানিকরা চার ভাই ও চার বোন। ছোট একটি জরাজীর্ণ ঘরে গাদাগাদি করে অমানবিকভাবে জীবন কাটাচ্ছেন তারা, ঘরের বেড়াও ঠিকভাবে নেই।

আসমা কিভাবে বসবাস করছে তা সরজমিনে গিয়ে দেখা ছাড়া অনুভব করা সম্ভব নয়। বর্তমান যুগে এভাবে বসবাস এবং মানবেতর জীবন যাপন খুব একটা খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

মানিক কুমিল্লার একটি বেসরকারি সুতা ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে সংসার পরিচালনা করে আসছিলেন। ২০১৭ সালে দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুতার ফ্যাক্টরিতে দুর্ঘটনার কারণে তার একটি হাত কেটে ফেলে দেয় চিকিৎসকরা। কোম্পানী চিকিৎসার খরচ দিলেও তার জন্য কোনো অনুদান দেয়নি।

বাড়ি এসে পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছিল মানিক। নিরুপায় হয়ে এক হাত দিয়ে অতিকষ্টে সে ব্যাটারি চালিত একটি রিকশা চালিয়ে কোনোভাবে সংসার পরিচালনা করে আসছিল।

এর মাঝে চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে মানিক স্ট্রোক করে মারা যান। তাদের বড় সন্তান মোঃ মামুন (৯) পাশের মীরওয়ারীশপুর গ্রামের জামিয়া রহমানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় হিফজু বিভাগের ছাত্র। সে মাদরাসায় বোর্ডিং এ থাকে, মাসে দুই হাজার টাকা পড়ালেখা খরচ বাবদ দিতে হয়।

মেয়ে সাজেদা আক্তার (৫) নরোত্তমপুর মহিলা ইসলামী জ্ঞানের ভবন মাদরাসার ছাত্রী। আসমা একই এলাকায় একটি সংস্থার পরিচালিত আদর্শ নুরানী তালিমুল কুরআন শিক্ষায় মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেন। এতে তিনি মাসে দুই হাজার এক শ’ টাকা পান। এই হলো তার মাসে একমাত্র উর্পাজন। এই টাকা দিয়ে তিনি ছেলের মাদরাসা খরচ দিবে নাকি খাবেন, তা বুঝতে পারছেন না।

আসমা জানান, সন্তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে চক্ষুলজ্জায় ভিক্ষাও করতে পারছেন না তিনি। অভাবের তাড়নায় ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

তিনি তার কমলমতি দুই সন্তানের জন্য সমাজের সহৃদয় বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা
বিকাশ নম্বর-০১৮৫০৯৪৩৭৬৫ (আসমা আক্তার)

শেয়ার করুন

কমেন্ট করুন

আরো সংবাদ পড়ুন